reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

দৈত্যাকার গুহার সন্ধান!

এবার কানাডার প্রত্যন্ত জঙ্গলে সন্ধান পাওয়া গেছে একটি দৈত্যাকার গুহা। এই গুহা এতটাই বড় যে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গুহাও হতে পারে এটি।

প্রত্যন্ত আলপাইন উপত্যকায় অবস্থিত এই গুহার মুখটিই ১০০ মিটার লম্বা, ৬০ মিটার প্রশস্ত। ওই গুহামুখের দিকে তাকালে মোটামুটি ৬০০ ফুট গভীর (১৮৩ মিটার) পর্যন্ত চোখ যেতে পারে। এটা যে তার চেয়ে ঢের গভীর, সে বিষয়ে নিশ্চিত আবিষ্কারক দল।

এই গুহাকে এক ধরনের ‘গুহা খাদ’ বলছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ জন পোলক। কারণ গুহার মুখ থেকে জলধারা চলে গেছে অনেকটাই গভীরে। গুহামুখ থেকে বহু দূর পর্যন্ত নেমেও এখনও গভীরতা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।

চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল এই গুহা সম্পর্কে তথ্য জানার কাজ। এপ্রিল মাসে ক্যারিবু হরিণ গণনার সময় ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বন দফতরের হেলিকপ্টার এটির প্রথম সন্ধান পায়।

স্টার ওয়ার্স সিরিজের ছবি ‘রিটার্ন অব জেডি’-র নাম অনুযায়ী এটিকে আপাতত সারলাক পিট বলা হচ্ছে। ছবিতে সারলাক ছিল এক দানব, যে ধীরে ধীরে শিকারকে টেনে নিত নিজের গুহামুখের দিকে। এটিও তেমনই বিপুল। আসলে এই গুহাটি জাতীয় সম্পদ। তাই এটির প্রকৃত অবস্থান এখনও জানানো হয়নি।

সেপ্টেম্বরে গবেষক দলের একজন গুহামুখ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী হিমবাহ থেকে বরফ গলে, পাথরের খাঁজ তৈরি হয়েছে বহু বছর ধরে। প্রায় ৮০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে প্রবল জলধারার কারণে থেমে গিয়েছিলেন তিনি।

প্রায় ২ কি.মি. বয়ে এসেছে এই জলধারা। এটি একটি নদীও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উষ্ণায়নের কারণেই বরফ গলে গিয়ে আচমকা এই গুহামুখ বেরিয়ে পড়েছে বলে জানান পোলক।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দৈত্যাকার গুহা,কানাডা,গুহার সন্ধান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close