reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিশ্বে প্রথম মৃত নারীর জরায়ু থেকে শিশুর জন্ম

একজন মৃত নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা জরায়ু প্রতিস্থাপনের পর সেখানে সফলভাবে একটি মেয়েশিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগে জীবিত নারীদের দান করা জরায়ু প্রতিস্থাপনের পর শিশুর জন্ম হলেও, মৃত নারীর জরায়ু ব্যবহার করে শিশুজন্মের ঘটনা এই প্রথম। এই সফলতা বন্ধ্যা নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

টানা ১০ ঘণ্টার অপারেশনের পর ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ২০১৬ সালে ওই জরায়ুটি প্রতিস্থাপিত হয়। যার শরীরে সেটি স্থাপন করা হয়েছিল, তার শরীরে জন্ম থেকেই জরায়ু ছিল না।

এ পর্যন্ত জীবিত নারীদের শরীর থেকে ৩৯টি জরায়ু প্রতিস্থাপনের খবর পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রে মা তাদের মেয়েকে জরায়ু দান করেছেন। এ রকম প্রতিস্থাপনের পর ১১টি শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে কোনো মৃত নারীর শরীর থেকে নেওয়া জরায়ুতে বাচ্চা জন্মের ঘটনা এবারই প্রথম। এর আগে যতবার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটি ব্যর্থ অথবা গর্ভপাত হয়ে গেছে।

যার জরায়ু, তিনি ছিলেন মধ্য চল্লিশের একজন নারী, যিনি মস্তিষ্কে রক্তপাতে মারা যান। তার তিনটি সন্তান রয়েছে।

যে নারীর শরীরে জরায়ুটি স্থাপন করা হয়, তার এমন একটি শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেখানে যৌনাঙ্গ এবং গর্ভাশয় ঠিকভাবে কাজ করে না। তবে তার ডিম্বাশয় ঠিকঠাক ছিল। চিকিৎসকরা সেখান থেকে ডিম্বাণু নিয়ে সম্ভাব্য বাবার ভ্রƒণের সঙ্গে নিষিক্ত করে এবং সেটি হিমায়িত করে রাখে।

সেই নারীকে এমন ওষুধ দেওয়া হয়, যা তার শরীরের রোগ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলে, যাতে জরায়ু প্রতিস্থাপনে কোনো বাধা তৈরি না হয়।

প্রায় সাত মাস পর নিষিক্ত ডিম্বাণুটি তার জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক গর্ভধারণের পর সিজারিয়ান অপারেশনের পর তিনি আড়াই কেজি ওজনের একটি শিশুর মা হন।

ড. ডানি ইয়েনবার্গ বলছেন, ‘জীবিত নারীদের শরীর থেকে জরায়ু প্রতিস্থাপন ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি যুগান্তকারী ব্যাপার, যার ফলে অনেক নারী মা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জীবিত দাতাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, এ রকম দাতা দুর্লভ।’ তবে মৃত শরীর থেকে জরায়ু সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করতে পারাটা অত্যন্ত চমৎকার একটা ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন ড. ইয়েনবার্গ।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৃত নারী,শিশুর জন্ম,মৃত নারীর জরায়ু,বিশ্বে প্রথম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close