reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

সমুদ্রের নিচে ডাকবাক্স!

ই-মেইল, মেসেজ, হোয়াটস্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জারের মতো দ্রুত প্রযুক্তির যুগে আজকাল গোটা বিশ্বে চিঠি লেখার প্রচলন নেই বললেই চলে। শুধু দাফতরিক কাজেই চিঠিপত্র বিলি হয় এখন। প্রযুক্তির প্রসারে টেলিগ্রামের প্রয়োজনীয়তা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগে। লাল রঙের, গোল মাথাওয়ালা ছোট থামের মতো দেখতে সেই ডাকবাক্স যা একটা সময় শহরের অলিতে গলিতে দেখা যেত, তা এখন বিলুপ্তির পথে।

তবে এমন পরিস্থিতিতেও একটি ডাকবাক্স হয়ে উঠেছে হাজার হাজার পর্যটকের মূল আকর্ষণ। হাজার হাজার চিঠি নিয়মিত জমা পড়ে এই বাক্সে। এই বাক্সে চিঠি ফেলতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন প্রতি বছর। তবে এটা শহরের কোনো প্রান্তে দাঁড়ানো সাধারণ ডাকবাক্স নয়। এর অবস্থান গভীর সমুদ্রের নিচে।

ব্যতিক্রমী এই ডাকবাক্সটি রয়েছে জাপানের সুসামি শহরে। এখানে বসবাস করেন প্রায় পাঁচ হাজার মৎস্যজীবী। ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে এখানে ‘কুমানোকোদো’ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটন প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর সেই সময় এক প্রবীণ পোস্টমাস্টারের পরামর্শ অনুযায়ী, ‘ডিপ সি ডাইভিং’-এর কাঠামো গড়ে তোলা হয়। এরই প্রধান অনুষঙ্গ হিসাবে সমুদ্রের গভীরে বসানো হয় ‘আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’।

২০০২ সালে ‘ডিপেস্ট আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’ হিসাবে গিনেস রেকর্ডের বইয়ে জায়গা করে নেয় সুসামির এই ডাকবাক্সটি। এর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াতো দ্বীপরাষ্ট্রে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্ডারওয়াটার পোস্টবক্স। তারই অনুকরণে জাপানের সুসামিতে তৈরি হয় এই ‘আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ডাকবাক্স,সমুদ্রের নিচ,জাপান,পর্যটকের আকর্ষণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close