পুরনো চুল জমিয়ে মিউজিয়াম!
ইউরোপে বেশ প্রাচীন কেশশিল্প । এটা স্টাইল করে চুল কাটা বিষয়ক শিল্প নয়; বরং চুল দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরির শিল্প। কখনো গহনা, কখনো ছবির ফ্রেম, কখনো ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ তৈরি হয় চুল দিয়ে।
১৭ শতক থেকেই এই শিল্প চর্চা হয়ে আসছে। পরে ১৯ শতকে চুল-শিল্প বিপুল আকার ধারণ করে।মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ক এক জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে দেখানো হয়েছে, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স পেরিয়ে এই শিল্প ১৯ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছায়। সে দেশেও তৈরি হতে শুরু করে চুলের ব্রেসলেট, নেকলেস, আংটি, পেন্টিং, মেডালিয়ন ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি স্টেটের ইন্ডিপেন্ডেন্স শহরের বাসিন্দা লেইলা কোহুন এক সময়ে কসমেটলজি পড়তেন। অবসর গ্রহণের পরে তিনি গড়ে তোলেন এক সংগ্রহশালা।
এই মিউজিয়ামেই ঠাঁই হয় ১৯ শতক থেকে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত চুল শিল্পের নানা নিদর্শনের। ১৯৫৬ সাল থেকে লেইলা সংগ্রহ করছেন হেয়ার আর্ট এর বিবিধ নিদর্শন। চুলকে লেইলা মানবদেহের এক অত্যাশ্চর্য অঙ্গ বলেই মনে করেন। বর্তমানে তার তৈরি মিউজিয়াম দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
লেইলা’জ হেয়ার মিউজিয়াম-এ ছয় শতাধিক রিদ, দুই হাজারের বেশি গহনা রয়েছে। মিউজিয়ামের সব থেকে পুরনো সংগ্রহটি একটি ব্রোচ। এটি ১৬৮০ সালের।
এছাড়া ফ্রেমে বাঁধানো বহু শিল্পকর্ম রয়েছে, যাদের বয়স কম করে শতবর্ষ। এর বাইরে এই সংগ্রহশালায় রয়েছে বেশ কিছু বিখ্যাত মানুষের চুল। এই তালিকায় রয়েছেন, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিঙ্কন, এমনকি, মহারানি ভিক্টোরিয়াও।
পিডিএসও/তাজ