রক্তচোষা কৃমি খেল ২২লিটার রক্ত!
দিল্লিতে ১৪ বছরের কিশোরের মলের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছিল বেশ কয়েক দিন। নানা মেডিকেল পরীক্ষা করেও এই রক্তপাতের সঠিক কারণ জানা যাচ্ছিল না। কিন্তু রক্তে আয়রনের ঘাটতি বেড়েই চলেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিশোরকে রক্ত দেওয়া শুরু হয়। দু’বছর ধরে এই অবস্থা চলে। এই সময়ে প্রায় ৫০ ইউনিট বা ২২ লিটার রক্ত দেয়া হয়। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৫.৮৬।
ইজিডি, কোলনোস্কোপি, রেডিওগ্রাফি করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি কী কারণে অন্ত্রের রক্তপাতের আসল কারণ। শেষে ওই কিশোরকে দেশটির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ক্যাপসুল-সাইজ এন্ডোস্কোপি করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে একটি তারহীন ক্যামেরা পেটের ভিতরের ছবি তোলে। ভিটামিনের ক্যাপসুলের মতো একটি খোলের ভিতর ক্যামেরাটি থাকে। সেই পরীক্ষাতে যা বেরিয়ে আসে, তা দেখে চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের।
শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের প্রধান অনিল আরোরা বলেন, আমরা দেখতে পাই অনেকগুলো বক্র কৃমি বা হুকওয়ার্ম লুকিয়ে রয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরে। তারা প্রায় নেচে নেচে রক্ত চুষছে। কৃমির মধ্যে রক্ত জমে আছে, তা দেখা যায়। এর ফলে কৃমিগুলো লাল রঙের হয়ে উঠেছিল। সাদা রঙের কৃমিও দেখা গেছে সেখানে। তারপরেই কিশোরের চিকিৎসা শুরু হয়। তার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়তে থাকে।
জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড থেরাপিতে প্রকাশিত হয়েছে এই খবরটি। সাধারণত বক্রকৃমি এশীয়দের মধ্যেই দেখা যায়। এই কৃমির হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও জুতো পরে হাঁটার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : এবেলা
পিডিএসও/তাজ