কর ফাঁকি ধরতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিপ
হোটেল-রেস্তোঁরাসহ বিভিন্ন ধরণের ফাস্ট ফুডের দোকানের আয় ও ব্যয় নিরূপণ করে তাদের আয়করের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিশেষ জরিপ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এছাড়া বিউটি পার্লারেও এ ধরণের জরিপকাজ চালানো শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী এ ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে।
এনবিআর ধারণা করছে, বিশাল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করযোগ্য আয় থাকা সত্বেও তারা আয়করের আওতায় নেই। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান এখনো করদাতা সনাক্তকরণ নম্বরের (ই-টিআইএন) আওতায় আসেনি। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের ই-টিআইএন রয়েছে, তারাও বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিচ্ছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা এবং যথাযথ কর আদায় করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকার কর অঞ্চল ৭-এর আওতায় তিনটি দল এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি তাদের আয়করসংক্রান্ত অবস্থাও যাচাই করবে।
আগামী অক্টোবর নাগাদ ওই জরিপকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর অফিস ধারণা করছে, ঢাকা শহরেই এ ধরণের প্রায় সাত হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কর ফাইল রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের কর ফাইল আবার অন্য কর অফিসের সঙ্গেও থাকতে পারে।
এনবিআরের একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান দিন দিনই বাড়ছে। কিন্তু আমরা ধারণা করছি, এরমধ্যে খুব অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠানেরই কর ফাইল আছে বলে আমরা ধারণা করছি। আবার যাদের ফাইল রয়েছে, তারাও যথাযথ আয় দেখায় কিনা—তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়কর ফাইল রয়েছে কিনা তা যাচাই করা এবং তাদের আয়করের আওতায় আনা। কোন ধরণের ভীতি সৃষ্টি করা উদ্দেশ্য নয়।
আয়কর বাড়াতে দেশব্যাপী নানামুখী কর্মসূচী চলমান রয়েছে। জেলা উপজেলা ছাড়িয়ে গ্রাম পর্যায়েও আয়কর আদায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। গ্রামেও কর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তিদের করের আওতায় আনতে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়া আয়করের বাইরে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও করের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা।
পিডিএসও/হেলাল