আমদানি করা হচ্ছে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে একটি থাই কোম্পানির কাছ থেকে ৪৩৮ ডলার দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় এই চাল কেনা হবে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে থাইল্যান্ডের কোম্পানি মেসার্স সিয়াম রাইস ট্রেডিং প্রতি টন ৪৩৮ মার্কিন ডলার দরে মোট ১৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় এই চাল সরবারহ করবে। এলসি খোলার ৪০ দিনের মধ্যে চাল সরবারহ করতে হবে।

এদিকে বাজার সামাল দিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। সরকারি মজুদ বাড়াতে চলতি অর্থ বছরে সরকারিভাবে ১৫ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশে চাল রপ্তানিতে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে চালের দাম ফের বাড়তে শুরু করে। গরিবের মোটা চালের কেজিও ৫০ টাকায় পৌঁছায়। এই পরিস্থিতিতে সরকার মঙ্গলবার চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে কিছু সমস্যা মেটানোর আশ্বাস পেয়ে ব্যবসায়ীরা চালের দাম কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত হাওরে আগাম বন্যায় ফসলহানির পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২ দফার বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রোগবালাইয়ের কারণেও এবার ধানের ফলন অনেক কম হয়েছে। হাওরে ফসলহানীর পর থেকে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে চালের সরকারি মজুদ তলানিতে নেমে আসায় বাজার কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ