নিবন্ধিত করদাতা সাড়ে ৩০ লাখ
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিবন্ধন করেছেন ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৪০৫ জন। এর মাধ্যমে করদাতা সংগ্রহে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে বলে মনে করছে এনবিআর। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করায় নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বলে ধারনা এনবিআরের। এই প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর মাধ্যমে প্রমানিত হয়, দেশের নাগরিকরা কর প্রদানে সচেতন হচ্ছেন। এনবিআরের প্রতি জনগনের আস্থা বাড়ছে। হয়রানিমূক্ত পরিবেশে তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে ই-টিআইএন নিবন্ধন করছেন। প্রতি মাসে অন্তত ৫০ হাজার নতুন করদাতা ই-টিআইএন নিবন্ধন করছেন বলেও জানান তিনি।
চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মধ্যে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ৩৫ লাখে উন্নীত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আব্দুর রাজ্জাক। তার মতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ই-টিআইএনের সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি গত অর্থবছর থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করায় নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
করজাল সম্প্রসারণে সরকারের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এনবিআরের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন,রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে আয়করকে চিহ্নিত করে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এর অংশ হিসেবে দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে করজালের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন এবং কর জরিপ কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হচ্ছে।পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন সহজ এবং যুগোপযোগি করা হয়েছে।
এনবিআর সদস্য বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনের আগেই নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখ নিয়ে যেতে হলে হলে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষকে নতুন করে করজালের আওতায় আনতে হবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে নতুন করে আরো ১৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে করজালের আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন,এজন্য করজাল সম্প্রসারণে ন্যুনতম কর দিতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ কর দিতে সক্ষম এমন অনেকেই এখনও করজালের বাইরে রয়ে গেছে। তাদেরকে করজালের আওতায় আনা হবে।
আব্দুর রাজ্জাকের মতে, আয়কর বিভাগকে যেভাবে অটোমেশন করা হয়েছে,তাতে আগামীতে করযোগ্য কেউ আর করজালের বাইরে থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত দেশে বর্তমানে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ই-টিআইএনধারীর মধ্যে করদাতার সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ। গত ১ জুলাই থেকে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের আয়কর বিবরণী দাখিল শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।পিডিএসও/মুস্তাফিজ