এবার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০, খাসি ২০ টাকা
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবারও যথারীতি কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এই দাম ঘোষণা করেন। এতে গতবারের মতই এবারও বিভিন্ন পশু এবং এর আকারভেদে দাম ঘোষণা করা হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব, শিল্পসচিব, চামড়াশিল্পে জড়িত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ টাকায় কিনেছেন। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা হওয়ার ৩০ দিন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় যাতে চামড়া পাচার না হয়, সে জন্য পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহিষের চামড়ার দর কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজার অনুসারে ব্যবসায়ীরা মহিষের চামড়ার দাম ঠিক করবে। আমার কোনো ধারণা নেই। চামড়ার এই দর গতবারের সমানই রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনবেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া ২০-২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। তবে লবণযুক্ত চামড়ার জন্য এই দাম প্রযোজ্য হবে, নাকি লবণ দেওয়ার আগে- সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের টানাপড়েনের মধ্যে মন্ত্রী বিষয়টি প্রচলিত নিয়ম-পদ্ধতি ও বাজারের উপরে ছেড়ে দেন।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশ থেকে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। এর অর্ধেকের বেশি চামড়া আসেএই কোরবানির ঈদে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ