reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ আগস্ট, ২০১৭

বাজারদর : ১ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা

পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়েই চলেছে। কারণের কোনো অভাব নেই। বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, যানবাহন খরচ, চাঁদাবাজি আর এখন কোরবানি। এসব অজুহাতে গেলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০ টাকা। ফলে দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা যা গেলো সপ্তাহে বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা দেশে টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে আড়তে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতেও বন্যার কারণে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা যোগ করেন।

অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, আসছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। ঘাটতির অজুহাতে অনেক ব্যবসায়ী মজুদ বাড়াচ্ছে বলেও একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে দ্রুততার সঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজ খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে। তাই পেঁয়াজের দামও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

এদিকে গেলো সপ্তাহের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি রসুন ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা।

কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৫০-৫৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লেবু প্রতি হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আগের দাম বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা, প্রতি লিটার ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি কেজি ছোলা ৮০ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ টাকা, হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪২-৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, বিআর-২৮ ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পাইজাম ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৩৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১২০-২০০ টাকা, টেংরা ৪০০ টাকা, মাগুর ৩০০-৫০০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাজারদর,১ সপ্তাহ,পেঁয়াজ,দাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist