১০ জন ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’র নাম ঘোষণা
১০ জন ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’র নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সদ্য বিদায়ী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সার্বিকভাবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করায় আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট, মূসক) এবং কাস্টমস বিভাগ থেকে এই ১০ জন কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করেছে এনবিআর। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরপরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ আবদুল মুমেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ১০ কমিশনারের মধ্যে আয়কর বিভাগ থেকে ৩ কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন (বৃহৎ করদাতা) ইউনিটের আলমগীর হোসেন, (কর অঞ্চল ৮) আবু তাহের চৌধুরী এবং (কর অঞ্চল ১০) অপূর্ব কান্তি দাস।
মূসক বা ভ্যাট ক্যাটাগরিতেও ৩ কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন- কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা-পূর্ব) এ কে এম নুরুজ্জামান, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (যশোর) জামাল হোসেন এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা-উত্তর) মাসুদ সাদিক। আর কাস্টমস বিভাগ থেকে মোট ৪ জন কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাস্টমস হাউস (বেনাপোল) মো. শওকাত হোসেন ও কাস্টমস হাউস (চট্টগ্রাম) এ এফ এম আবদুল্লাহকে যৌথভাবে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কমিশনার কাস্টমস হাউস (ঢাকা) প্রকাশ দেওয়ান ও কাস্টমস হাউস (আইসিটি) ফারজানা আফরোজকে ‘কমিশনার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে টানা তৃতীয়বারের মতো ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দেয় এনবিআর। রেকর্ড ১৮.৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করে এনবিআর, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এ বিশাল অর্জনে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে সম্মানিত করদাতাদের সহযোগিতা ও অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাদের সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে আগামী অর্থবছরে নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সকলে মিলে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানো সম্ভব হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি সমুন্নত হবে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ