reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ জুন, ২০১৭

সংবাদপত্রের ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমের বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রস্তাবিত বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন। তিনি আবগারি শুল্কের ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থা বহাল না করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানত আবগারি শুল্কমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।

হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক বড় বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্জন করে। সংসদে এতোবড় বাজেট জাতীয় সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে অর্থনীতিকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ’র কাছে বন্ধক দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। দেশের সংবিধানকে বুটের তলায় পিষ্ট করে ৪ নীতিকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দিন বদলের সূচনা হয়। বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা হয়। এই দিন বদলের ধারাবাহিকতায় আজকের এই বাজেট।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার সুদুর প্রসারী প্রভাব পড়বে। জ্বালানি শক্তি বৃদ্ধির জন্য যথার্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এর আগের সামরিক সরকারগুলো দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দেয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই অন্ধকার থেকে জাতিকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, পৃথিবীর কোন উন্নয়নশীল দেশে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এতো বরাদ্দ দেয়া হয় না। ২০০৯-১০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ দেখে দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এর সমালোচনা করে বলেছিলেন, এতোবড় সামাজিক নিরাপত্তার জাল আমরা বহন করতে পারবো না। সবার কথা মিথা প্রমাণ করে দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, সামাজিক নিরাপত্তার যে জাল তা আমরা বহন করতে পারি। সামজিক নিরাপত্তার যে বরাদ্দ তা অর্থনৈতিক নিজস্ব সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। তিনি কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষি ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক যুদ্ধ হচ্ছে জঙ্গি ও জঙ্গির সঙ্গীকে ক্ষমতার বাইরে রাখা। অর্থনৈতিক যুদ্ধ হচ্ছে সমৃদ্ধি অর্জনের যুদ্ধ। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করার যুদ্ধ। এই দুই যুদ্ধের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেটকে যুদ্ধের চশমা দিয়ে দেখে বিশ্লেষণ করা উচিত। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাজেটে দারিদ্র্য কমেছে, মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেড়েছে, লাখপতি ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে, মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বাজেটের দুর্বলতার বিষয়গুলো উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, কৃষি রাজস্ব কম হচ্ছে, সমবায় অবহেলিত, হাওরের গুরুত্ব দিলেও চরাঞ্চল, বিল ও পাহাড়ের গুরুত্ব একটু কম দেয়া হচ্ছে, ব্যাংকের লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি, বিচার করছি। সেখানে দুর্নীতির সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকের টাকা ও এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে বেগম খালেদা জিয়ার মতো অপরাধীরা জামিন পেয়ে আদালত থেকে বিজয়ের চিহ্ন দেখিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসে। এটা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সংবাদপত্রের ভ্যাট,প্রত্যাহারের আহ্বান,তথ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist