দেশে ঋণ খেলাপি ২ লাখ : অর্থমন্ত্রী
দেশে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৬২৩ বলে জাতীয় সংসদে তথ্য দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডেটাবেইজের এই তথ্য তুলে ধরেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সাংসদ পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ঋণ খেলাপি গ্রাহকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ওই দুই লাখ ঋণ খেলাপির হাতে কত টাকা আটকে আছে তার হালনাগাদ তথ্য মন্ত্রীর উত্তরে আসেনি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত মার্চের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, যা মোট ব্যাংক ঋণের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সরকার খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ১৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করেছে। ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ সহজ হয়েছে। অবলোপন করা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। তারপরও গতবছরের মার্চ থেকে এক বছরে খেলাপি ঋণের পারিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, চলতি অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৬৫৪ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৬ হাজার ৫১০ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২৫৪ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৬ হাজার ৮৬ কোটি খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৮৩ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৩২৮ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৫০ কোটি টাকা, বিডিবিএল এর ৮৫৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৩০ কোটি টাকা, কৃষি ব্যাংকের ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৯৩০ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক হাজার ৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২২৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
পিডিএসও/হেলাল