ফুড়িয়ে আসছে তেলচালিত গাড়ির দিন!
ক্রমেই তেলচালিত গাড়ির দিন ফুড়িয়ে আসছে! পর্যবেক্ষরা বলছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবে তেলচালিত গাড়ি! বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে দিন দিন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়েই চলছে। তবে জ্বালানির ওপর নির্ভরতা না কমাতে পারলে ভবিষ্যতে মানবজাতিকে অনেক বড় সংকটে পড়তে হবে। আর এই কারণে তেলচালিত গাড়ির ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়েই এখন আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, তেলচালিত গাড়ির জায়গায় ভবিষ্যতে বিদ্যুতচালিত গাড়ি চলে আসবে। এদিকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্তনীতিবিদ টনি সেবার মতে, খুব নিকট ভবিষ্যতেই তেল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে। আর তা হতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই। এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে। এতে বলা হয়, পরিবহন খাতে শিগগিরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। আর এই পরিবর্তনের কারণ হবে গাড়ি শিল্পে বৈদ্যুতিক জ্বালানি ব্যবহার।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণার কথা উল্লেখ করে টনি সেবা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা দিন দিন কমে আসবে। সে জায়গা দখল করে নেবে বৈদ্যুতিক শক্তি। যে কারণে আগামী আট বছরের মধ্যে যারা গাড়ি কিনতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই বৈদ্যুতিক যানবাহনে বিনিয়োগ করা উচিত।
‘রিথিংকিং ট্রান্সপোর্টেশন ২০২০-২০৩০’ শিরোনামের ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়, পরিবহন ও যানবহন পরিচালনায় মানুষ শেষ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য বৈদ্যুতিক জ্বালানি চালিত গাড়ির দিকেই ঝুঁকবে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত গাড়ির চেয়ে বিদ্যুত পরিচালিত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা হবে ১০ গুণ বেশি সস্তা।
টনি সেবা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, একটি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির আয়ুষ্কাল ১৬ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪ কিলোমিটারের মতো। আর এক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির গাড়ি চলতে পারে ৩ লাখ ২১ হাজার কিলোমিটারের মতো। আর এ কারণে আগামী দিনে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িগুলো প্রয়োজনীয় পেট্রল পাম্প খুঁজে পেতেই বিপাকে পড়বে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মেরামতের প্রয়োজনে গাড়ির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও খুঁজে পাবেন না বাহনের মালিকরা। ২০২৪ সালের মধ্যে আধুনিক দিনের কার ডিলারশিপ অদৃশ্য হয়ে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ