লোডশেডিং কমাতে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক
লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কমানোর এক প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৭২ কোটি টাকা। বুধবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ ঋণ অনুমোদন দেয়। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দক্ষতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়ানো’ নামের এ প্রকল্প লোডশেডিং কমানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাবে। নতুন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন এবং সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে যা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্বনের ব্যবহার কমাবে। ফলে গ্রিন-হাউজ গ্যাস নির্গমন কমবে।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা'র (আইডিএ) আওতায় এ ঋণ শোধ করতে হবে ৩০ বছরে। প্রথম ৯ বছরে কোনো কিস্তি দিতে হবে না। সংস্থাটি বলেছে, এ ঋণের কোনো সুদ নেই। বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সুদমুক্ত ঋণ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে বিশ্বব্যাংক আইডিএ ঋণ বেশি দেয়। এ ধরনের ঋণে সার্ভিস চার্জ থাকে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করেছে। এরপরেও বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে এ দেশের অবস্থান ১৮৭তম। এ প্রকল্প সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে আধুনিকায়ন করবে।
বিশ্বব্যাংকের এক জরিপ অনুযায়ী, (এন্টারপ্রাইজ সার্ভে ২০১৩) বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে গড়ে ৮৪০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়ে। এতে যে ক্ষতি হয়, তা মোট দেশজ উৎপাদনের ( জিডিপি) ৩ শতাংশ। প্রায় সব শহরে বিদ্যুৎ থাকলেও ৩০ শতাংশ গ্রামীণ এলাকা এর বাইরে রয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব