নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজিএমইএ সভাপতির শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা অমানবিক : শ্রমিক জোট
করোনার পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণাকে অত্যন্ত অমানবিক ও উস্কানিমূলক বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক জোট সভাপতি ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) অন্যতম নেতা সাইফুজ্জামান বাদশা এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও স্কপ যুগ্ম-সমন্বয়কারী নইমুল আহসান জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।
শনিবার সংগঠনের দফতর সম্পাদক রাজীব আহম্মেদ প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মোকাবেলায় গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন সরকার। তারপরও গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের শতকরা ৬০ ভাগ বেতন প্রদান করেছে। এদিকে ইরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। বাতিল হওয়া রপ্তানি কার্যাদেশ পুনর্বহাল করেছেন বৈদেশিক ক্রেতারা। তবুও অনেক কারখানায় এখনো এপ্রিলের মজুরি পরিশোধ করেনি।অন্যদিকে চলেছে শ্রমিক ছাটাই এবং কারখানা লে-অফ।
শ্রমিক ছাঁটাই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ যৌথভাবে সিদ্ধান্তে ঘোষণা দিয়েছিল, করোনার সময় কোন শ্রমিক ছাটাই ও কারখানা লে-অফ করা হবে না। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মালিকরা হাজার হাজার শ্রমিক ছাটাই করেছে, লে-অফ করে কর্মহীন করেছে। যা এখনও অব্যাহত রেখেছে। অথচ করোনা কালে শ্রমিক ছাঁটাই এবং কারখানা লে-অফ করার ব্যাপারে আইএলও কনভেনশনসহ সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইন আছে। এই সময়ে বিজিএমইএ সভাপতির শ্রমিক ছাটাইয়ের উস্কানি মূলক ঘোষণা চরম অমানবিক।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে সরকারের সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়া রুবানা হক নিজের ইচ্ছামত কারখানা একবার খোলা, একবার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে লাখ লাখ শ্রমিককে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে ফেলেছিলেন। শ্রমিকদের নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে।
জোট নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উল্লেখ করে বলেন, মালিকরা বছরের পর বছর শ্রমিকের শ্রমে সীমাহীন সম্পদ-বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন, তারা এই জাতীয় দূর্যোগেও যদি শ্রমিকদের প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন না করে তাহলে চরম শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হবে।