নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ এপ্রিল, ২০২০

অস্থির ভোজ্য তেলের বাজার, বাড়ছে সবজির দাম

চালের পর সপ্তাহের ব্যবধানে অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্য তেলের দাম। আগের সপ্তাহে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা লিটার বিক্রি হওয়া খোলা সয়াবিন গতকাল শুক্রবার দাম বেড়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে কোথাও কোথাও। উৎপাদন পর্যায়ে সবজির দাম তলানিতে নামলেও রাজধানীতে সেই সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

গতকাল সবজির দাম দেখা গেছে আগের সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। এছাড়া চাল, ডাল চিনি ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বিক্রিতারা ক্রেতা কম থাকায় সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন। মুগদা, মালিবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির মধ্যে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, করলা ৫০, বেগুন ৪০, কাঁচামরিচ ৬০, টমেটো ৩০, শিম ৪০, পটোল ৫০ এবং পেঁপে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আলু ছাড়া সব ধরনের সবজির দামই ১০ থেকে ১৫ টাকা কম ছিল। এছাড়া বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০, লেবু মাঝারি ৮ থেকে ১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। শাকের দাম কিছুটা কম রয়েছে। পুঁইশাক ২০ টাকা ও লালশাক ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আগের মতোই রয়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম কমেনি চলতি সপ্তাহেও। গত বৃহস্পতিবারও গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। রোজার আগে কমার সম্ভাবনাও নেই বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

মুগদা কাঁচাবাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. সালাম বলেন, এখন বিক্রি কম তাই গরু আসছে কম। এছাড়া পরিবহন সংকটও রয়েছে। ফলে মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া খাসির মাংস এখন বাজারেই নেই বলেও জানান তিনি। কম দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ডজনে নেমেছে। আগের সপ্তাহে ১০৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন। হাসের ডিম ১২০ টাকা ডজন।

চাল ডালের দাম আগের বাড়তি দামে বিক্রি হলেও। নতুন করে বেড়েছে সয়াবিনের দাম। গত দুই দিনে লিটারে বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। এছাড়া সপ্তাহের শুরু থেকেই দাম বাড়ছিল পণ্যটির। ফলে সপ্তাহজুড়ে ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়ে খোলা সয়াবিন এখন ৯৮ থেকে ১০০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

আগের সপ্তাহেও পণ্যটির ২ টাকা বেড়ে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। তবে কিছুটা কমেছে পাম তেলের দাম। ৭৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমে ৭৩ টাকা আর ৮০ টাকা থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাম তেল। সয়াবিনের এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। মশুর ডাল বড় দানা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আর ছোট দানা ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, শুকনা মরিচ, সয়াবিন, চাল, ডালসহ আটটি পণ্যের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে আলু, ডিমসহ চারটি পণ্যের। এদিকে বৃহস্পতিবারও টিসিবির পণ্য বিক্রি হয় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে। এ দিনও পণ্যের চাহিদা ছিল ব্যাপক। বেশি চাহিদা ছিল সয়াবিন তেলের। এছাড়া চিনি ও ডালও নিতে দেখা গেছে অনেককে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাজারদর,নিত্যপণ্যের দাম,ভোজ্য তেল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close