শাহজাহান সাজু

  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আমদানি-রফতানিতে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে

করোনায় সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্য

করোনাভাইরাসে কাঁপছে চীন। কিন্তু চীন থেকে করোনাভাইরাস দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এর প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বে। এর ফলে সংকট বাড়ছে বিশ্ববাণিজ্যে। যার বাইরে নেই বাংলাদেশও। এর কারণ হচ্ছে, দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অনেকাংশই চীনের সঙ্গে জড়িত। মোট আমদানির ২৫-৩০ শতাংশই হয় চীন থেকে। দেশটি থেকে আমদানি করা হয় এক হাজারের ধরনের পণ্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হয় অসংখ্য পণ্য। করোনার কারণে আমদানি-রফতানিতে চরম প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। চামড়া ও পাটজাত পণ্যসহ অনেক কিছুই এখন রফতানি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। তবে আদা-রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়নার বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার।

জানা যায়, দেশের রফতানি বাণিজ্যে প্রধান খাত তৈরি পোশাক খাতেও ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে করোনার। অন্যদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যে ১০ মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে, চীনের অনেক নাগরিক সেগুলোতে কাজ করছেন। একই সঙ্গে তাদের প্রকৌশলগত ও টেকনিক্যাল অনেক সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। করোনার প্রভাবে সেগুলোর কাজ শ্লথগতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে এর বহুমুখী প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। করোনা সংকট যত দীর্ঘায়িত হবে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতি এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অর্থনীতিতে এর প্রভাব মোকাবিলায় সরকারকে প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে বলে মনে করেন তারা। এদিকে, দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিষয়টি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনিটরিং করছেন। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন এবং একটি ন্যাশনাল কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তা ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো ইতোমধ্যেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি করোনার প্রভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনা নাগরিকদের বিভিন্ন দেশে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হলে দেশটি থেকে মালামাল আমদানি-রফতানিতেও অনেক দেশ আগ্রহ হারাবে। বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প বাজারে নজর রেখেছে সরকার। গতকাল বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই মি. ডেভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়, এতে করে চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। তবে আদা-রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়নার বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে কতটুকু প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। সে প্রতিবেদন এখনো তারা দিতে পারেননি। প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এখনই বলার সময় হয়নি করোনার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। অনেক আইটেম চীন থেকে আসে। রেডিমেড গার্মেন্টসের ফেব্রিক্স যেটা চায়না থেকে আসে। তবে সমস্যা মূলত একটি প্রদেশেই বেশি। তবু আমরা সেদিকে নজর রাখছি। কারণ, সেখান থেকে পণ্য আনতে সমস্যা হলে বিকল্প তো ভাবতে হবে। আর পোশাক ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি, তারা প্রতিবেদন দিলে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে।

এফবিসিসিআইকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল তারা কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসায়ীরা জানেন এ সময় চায়নায় ছুটি থাকে। এ সময় কোনো ইমপোর্ট হবে না। তাই ১৩ তারিখ সেখানকার ছুটি শেষ হলে বোঝা যাবে প্রভাব পড়বে কি না।

জানা যায়, পণ্য উৎপাদনে চীন থেকে প্রচুর কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এসব পণ্যের একটি অংশ দেশে বিক্রি হয়, আরেকটি অংশ রফতানি হয়। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামাল যেমন : সুতা ও কাপড়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আমদানি হয় চীন থেকে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সময়মতো কাঁচামাল আনতে পারছেন না অনেকেই। এর ফলে রফতানি পণ্য তৈরিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর ১ম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, চীনে নববর্ষের যে ছুটিটা ছিল, সেটা তারা দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছে। এরমধ্যে আমাদের যে কাঁচামালগুলো আসার কথা ছিল; সেগুলো আরো দুই সপ্তাহ দেরিতে আসবে। ফলে আমাদের প্রডাকশনে সমস্যা হবে, আমাদের শিপমেন্টে দেরি হবে, বায়ারদের সঙ্গে আমাদের নতুন করে নেগেশিয়েট করতে হবে। তবে চীনের নববর্ষের ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রকৃত অবস্থাটা বোঝা যাবে।

জানা যায়, চীন থেকে তৈরি পোশাকশিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল, শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি, পদ্মা সেতুসহ সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, মশলাজাতীয় পণ্য আদা-রসুন, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যসহ আরো অনেক পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের কাঁচামাল ফেব্রিকস, রাসায়নিক পদার্থ, কারখানার যন্ত্রপাতির প্রধান উৎসও চীন। এসব বিবেচনায় নিলে আমাদের দেশের আমদানির বড় বাজার হচ্ছে চীন। ফলে গার্মেন্ট কারখানার পণ্য উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪২ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে। এরমধ্যে চীন থেকেই আমদানি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকার পণ্য। হিসাব করে দেখা গেছে, মোট আমদানির প্রায় ২৬ শতাংশই চীন থেকে হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে আমদানি কমেছে ৩ শতাংশ এবং রফতানি কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। চীনের এ সংকটের কারণে আমদানি-রফতানি আরো কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে রাজস্ব আয়ে। চীনের বিভিন্ন রাজ্যের কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। নববর্ষের ছুটি বাড়ানো হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। এক এলাকার পরিবহন অন্য এলাকায় যাতায়াত করছে না। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে। ফলে পণ্য জাহাজীকরণ, বুকিং এসব হচ্ছে না। এতে দেশটি থেকে পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানিও ব্যাহত হচ্ছে। চামড়া ও পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে না। বন্ধ হয়ে গেছে কাঁকড়া ও কুঁচে রফতানি। তৈরি পোশাকেরও একই অবস্থা। উদ্যোক্তারা বলছেন, চীনের এ পরিস্থিতিতে পাট ও পাটপণ্য রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রভাব ইতোমধ্যে তা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি রফতানি আদেশ বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে চীনে পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, কাঁকড়া, কুঁচে রফতানি হয়। গত বছর ১৬ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছিল। বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের সুতার দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা চীন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে চীন বাংলাদেশ থেকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের পাটের সুতা আমদানি করেছে। এ সময় ১ কোটি ১৬ লাখ ডলারের কাঁচাপাট রফতানি হয়েছে দেশটিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চীনের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর দেশের ব্যাংক খাতও নির্ভরশীল। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইতোমধ্যে পণ্য আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা অনেক কমে গেছে। এতে ব্যাংকের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, চীনের সঙ্গে অনেক আমদানি-রফতানি হয়। মূলধনি যন্ত্রপাতির বেশির ভাগই আসে চীন থেকে।

জানা যায়, করোনাভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে চীন নৌযান চলাচল কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে তাদের পরিসেবার চাহিদা কমে গেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে বলে শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিপিং অ্যাসোসিয়েশন বিআইএমকোর প্রধান বিশ্লেষক পিটার স্যান্ড বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের সংযোগস্থল চীনের বন্দরগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ায় শিপিং ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ আন্তঃএশীয় ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং কনটেইনারবোঝাই পণ্য পরিবহনের চাহিদা সংকুচিত হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে একদিকে যেমন আমাদের পোশাক খাতে কিছু রিস্ক তৈরি হয়েছে; অন্যদিকে চীন যেসব দেশে রফতানি করত তারা যদি সেখান থেকে রফতানি কমায়; তাহলে সেই বাজারগুলো বাংলাদেশ ধরতে পারে কি না, সেখানে আবার একটা সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে যে, নতুন যেসব অর্ডারগুলো আসবে, এগুলো মাধ্যমিক যে পণ্য সেগুলো আমরা কোথা থেকে আনব। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন থেকেই কাঁচামাল আমদানি ও প্রস্তুত পণ্য রফতানির বিকল্প বাজার তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। পর্যটন খাত থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন খাত, অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি বা গাড়িশিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও সরবরাহ-ব্যবস্থা দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।

বিশ্বখ্যাত বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস চীনের তিয়ানজিনে অবস্থিত তাদের কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে বিশ্বে জেটবিমান সরবরাহে প্রভাব পড়বে। জাপানি টয়োটা ও হোন্ডা, মার্কিন জেনারেল মোটরস ও জার্মানির ফক্স ওয়াগন ও বিএমডব্লিউর মতো বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতারাও চীনে তাদের কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। চীন থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ না আসায় দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাইও তাদের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

জাপানের অর্থমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার মতে, করোনাভাইরাসের কারণে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ও মুনাফা কমবে। যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি জিএসকে জানিয়েছে, চীনের তিয়ানজিনে তাদের যে কারখানা আছে, সেটি চীনা নববর্ষের লুনার ইয়ারের ছুটির পর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। চীনে জিএসকেতে তিন হাজার চীনা নাগরিক কাজ করেন। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পর্যটন খাত। চীনে ঢোকা বা চীন থেকে বের হওয়া এখন কার্যত বন্ধ রয়েছে। যাত্রী কমার কারণে কয়েকটি বিমান সংস্থা চীনে ফ্লাইট বা উড্ডয়ন কার্যক্রম বন্ধ করেছে, কমিয়েছে এবং নিজেদের কর্মীদের ছুটিতে পাঠিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনাদের জাপান, যুক্তরাজ্যসহ বিদেশ ভ্রমণ বাড়লেও এবার তাতে বিপর্যয় নেমেছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্যবসা-বাণিজ্য,করোনাইভাইরাস,সংকট,আমদানি-রফতানি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close