নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২০

চালের বাজার হঠাৎ অস্থির

বিশেষ কোনো কারণ বা অজুহাত ছাড়াই চালের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই থেকে তিন দিন ধরে বাড়তি দাম রাখছেন মিল মালিকরা। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। আর ক্রেতারা বলছেন, এক মাসের মধ্যে দুই ধাপে চালের দাম বাড়লেও এ নিয়ে কোনো তদারকি নেই।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বস্তাপ্রতি চালের দর বেড়েছে ২০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুড়া বা পোলাও চালের দর। কেজিপ্রতি চিনিগুড়া চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এই বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিনিগুড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে চিনিগুড়া চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকায়।

অন্যদিকে মাত্র তিন দিন আগে খুচরা বাজারে প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা, আটাশ চাল ১ হাজার ৭০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের নাজির চাল প্রতি বস্তা ২ হাজার ১০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে প্রতি বস্তা মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরোনো) ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকা, আটাশ চাল ১ হাজার ৮৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের নাজির চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়।

হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আর বিক্রেতারা বলছেন, চালকল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিল থেকে বাড়তি দামে চাল কেনায় তাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

হাবিবুর নামে রাজধানীর মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, এখন ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দর-দাম ঠিক করে দেন। আমরা বাধ্য হয়েই তাদের থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। মাত্র চার দিন আগে যে চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজ সেটার দাম হয়ে গেল ৫০ টাকা।

একই অভিব্যক্তি জানালেন রামপুরা বাজারের ক্রেতা বাবুলি। তিনি বলেন, এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দুবার চালের দাম বাড়ল। সরকারিভাবে বাজার তদারকি না করলে শুধু চাল কেনো সব কিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে ব্যবসায়ীদের হাতে। যখন প্রথমে দাম বাড়ানো হলো সে সময়েই পদক্ষেপ নেওয়া হলে আজ আবার দাম বাড়ত না।

তবে ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিলকল মালিকদের। তাদের মতে, বাজারে চালের বিক্রি কম হলেও অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে চালের। তাছাড়া বিভিন্ন নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা ও সিরাজ অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী খোকন বলেন, তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৫৫০ টাকা বেড়েছে। এখন চালের বিক্রি কম হলেও মিলকল মালিকরা এই দাম বাড়িয়েছেন। সেখান থেকে বেশি দামে চাল কেনায় আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে মিল মালিকরা চালের দাম কমালে আমাদের এখানেও দাম কমে আসবে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চালের বাজার,চালের দাম বেড়েছে,চাল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close