নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

পেঁয়াজ ও সবজির দাম কমেছে

বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সবজি বাজার নাগালের বাইরে থাকলেও শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়ায় কমেছে শাকসবজির দাম। ৩০ থেকে ৫০ টাকায় মিলছে প্রায় সব ধরনের সবজি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, বাজারে আসা নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০-১২০ টাকা। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পাতাসহ পেঁয়াজের কেজি ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা ছোট পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২২০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজেরও দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজিতে।

নিমাই দত্ত নামের এক ব্যাবসায়ী বলেন, ‘বাজারে এখন নতুন পেঁয়াজ এসেছে। এ কারণে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এ ছাড়া এর প্রভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কমে গেছে। তবে কিছু পেঁয়াজ এখনো কৃষকরা তোলেননি। ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো বাজারে আসবে, তখন পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।’

সাদ্দাম নামের আরেক দোকানি বলেন, ‘সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকার বেশি হয়ে যায়। এতে সাধারণ ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছে। আমাদেরও বেশি বেচা হয়নি। তবে এখন দাম মোটামুটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে হওয়ায় পেঁয়াজ বিক্রি বাড়ছে। তাই মানুষের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।’

রামপুরা বাজারে পলাশ দত্ত নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বাসায় মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখি পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে। তাই বাসায় আজ দুই কেজি পেঁয়াজ নেব। পাশাপাশি বাসায় মাংস ও মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম যত দিন ৩০ টাকার মধ্যে না আসে, তত দিন সাধারণ মানুষ আগের মতো পেঁয়াজ খেতে পারবে না।’

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমে কেজিপ্রতি শিম (কালো) বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম (সাদা) ৪০ থেকে ৫০, গাজর (ফ্রেশ) ৬০ থেকে ৭০, গাজর (রেগুলার) ৪০, টমেটো ৭০ থেকে ৮০, টমেটো (কাঁচা) ৩০ থেকে ৪০, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ ও বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০, ক্ষীরা ৪০ থেকে ৫০, আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সবজির বাজারে দাম কমলেও আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি কাঁচকি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০, ছোট পুঁটি ৪৫০ থেকে ৫০০, শিং ৩৫০ থেকে ৬৫০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮৫০, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৪৫০, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা।

অপরিবর্তিত আছে মুরগি ও মাংসের বাজার। এসব বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০, বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য পণ্য।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাজারদর,সবজির দাম,পেঁয়াজ,কাঁচাবাজার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close