জুবায়ের চৌধুরী

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

আমদানি খরচ ৪২, খুচরায় দাম ২৫০ টাকা

পেঁয়াজ কারসাজিতে ব্যবসায়ীরা

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মানবিক মূল্যবোধহীন

স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের বাজারে রীতিমতো নৈরাজ্য চলছে। আর এই নৈরাজ্যের নেপথ্যে খোদ ব্যবসায়ীরাই। চাহিদা ও যোগান প্রায় সমান হলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তুলেছেন তারা। সরকারি মহলের সন্দেহ, দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি পরিমাণে মুনাফা লাভের আশায় পেঁয়াজের মজুদ বাড়াচ্ছেন। তবে পেঁয়াজের এই মজুদ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই সুযোগ নিচ্ছেন পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা। দায়িত্বশীলদের বক্তব্য কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের পরিসংখ্যান তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। এদিকে প্রতিদিনই বাজারে আসছে নতুন পেঁয়াজ। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বাজারে ছাড়া হয়েছে নিত্যদিনের এ পণ্যটি। সেই সঙ্গে সরকারের ন্যায্যমূল্যে বিক্রিও অব্যাহত আছে। এত কিছুর পরও পেঁয়াজের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও চলতি মাসেই নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে পারে। তখন দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নানামুখী তৎপরতার কথা বলা হলেও এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের উদ্যোগে অভিযানের কথা বলা হলেও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এর কিছুই পাত্তা দিচ্ছেন না। দেশি পেঁয়াজ আমদানি না হলেও এর দাম লাগামহীনভাবে কেন বাড়ছে, সে বিষয়টি জানার ব্যাপারে ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানির পরও পেঁয়াজের দাম না কমার রহস্য কবে উদ্ঘাটন হবে, তা এখন সরকারেরই অজানা। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের কেবল অপেক্ষা পেঁয়াজের নতুন মৌসুমের জন্য যদি প্রাকৃতিক নিয়মে তাতে পেঁয়াজের ঝাঁজ কিছুটা কমে।

বর্তমানে অতি অস্থির বাজারে আমদানি করা এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। অথচ এসব পেঁয়াজ কেনা হয়েছে মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে। খোদ আমদানিকারকরাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এই দরের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বিদেশ থেকে ৪০-৪২ টাকায় পেঁয়াজ এনে তা কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, আমদানিকারকরাই জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানিতে তাদের সর্বোচ্চ খরচ পরে ৪২ টাকা। তাহলে এত বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে কেন? তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীরা মানবিক মূল্যবোধহীন।

এ অবস্থায় পেঁয়াজ কারসাজিতে অভিযোগের তীরটা এখন আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের দিকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এই নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে সিন্ডিকেট জড়িত। অতি মুনাফার লোভে তারা পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বাড়িয়েছেন। তবে আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তারা বলেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি হচ্ছে চাহিদার অনেক কম। সরবরাহ কম থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। অথচ বাজারে পেঁয়াজের বিপুল সরবরাহ রয়েছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৮২৬ টন। এসব পেঁয়াজের মধ্যে ভারত থেকেই আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার টন। এর পুরোটাই এসেছে ভারতের রফতানি বন্ধের আগে এবং ওই সময় পর্যন্ত খোলা এলসির বিপরীতে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। শুল্ক বিভাগের কাছে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের এই দামই ঘোষণা করেছেন। এর বাইরে ৪৩ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে মিয়ানমার থেকে। এসব পেঁয়াজের দাম ঘোষণা হয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে উড়োজাহাজে ২৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। দাম পড়েছে ১৩৩ টাকা কেজি।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত হুট করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আরো আমদানি হয়েছে ৮২ হাজার মেট্রিক টন। এ সময় পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে মোট পেঁয়াজের সরবরাহ হয়েছে ৩২ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন। অন্যদিকে বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মাত্র ২৪ লাখ মেট্রিক টন। ফলে উদ্বৃত্ত থাকার কথা কমপক্ষে ৮ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন। পচনশীল এই পণ্যটির যদি ৩০ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ পচেও যায়, তারপরও উদ্বৃত্ত থাকবে ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। অথচ বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে নতুন মৌসুম শুরুর আগে দেশে চলছে পেঁয়াজের সংকট! আর এই সংকটকে ঘিরেই পেঁয়াজের দাম এখনো আকাশছোঁয়া, যা সাধারণ মানুষকে দিশাহারা ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সিন্ডিকেটের কাছে যেন জিম্মি হয়ে পড়েছে সরকার।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, বছরে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ৩০ শতাংশ স্বাভাবিক নিয়মেই পচে যায়, যার পরিমাণ সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন। এই সাড়ে ৭ লাখ টন পেঁয়াজই দেশে বরাবর ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতি মেটাতে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বছরে আমদানি করা হয় ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন। যা ঘাটতির তুলনায় এক থেকে আড়াই লাখ টন বেশি। এই পরিমাণ পেঁয়াজ দিয়ে চলার কথা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া হিসাব মতে, চলতি ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর মিয়ানমার ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। টিসিবি জানিয়েছে, মিসর থেকে সিটি গ্রুপের আনা সর্বশেষ ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজও দেশে এসেছে, যা টিসিবিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে পেঁয়াজ সংকটের কারণেই দাম বেড়েছে। তাহলে প্রশ্ন, এত পেঁয়াজ গেল কোথায়? ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে, দেশের পেঁয়াজের চাহিদা ও জোগানের কোনো সঠিক হিসাব নেই। ব্যবসায়ীদের ধারণা, প্রতি বছর চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদন করা হয়। বাকিটা আমদানি হয়। আমদানির প্রায় সবটুকুই ভারত নির্ভর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) হিসাবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টনের।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজি এম এ মাজেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানির জন্য এলসি খুললেও ২৯ সেপ্টেম্বর রফতানি বন্ধের পর ভারত পেঁয়াজ দেয়নি। ফলে যে পরিমাণ আমদানির কথা বলা হচ্ছে আসলে সে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। অপরদিকে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০ শতাংশ পচে যাওয়ার তথ্যটিও সঠিক নয়। তিনি বলেন, বছরে মোট পেঁয়াজের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই পচে যায়। কাজেই পেঁয়াজের উৎপাদন, পচে যাওয়ার পরিমাণ এবং মোট আমদানির পরিমাণে গলদ রয়েছে। আসলেই দেশে পেঁয়াজ সংকট রয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পণ্যটির ওপর চাপ পড়েছে, তাই দাম বেড়েছে।

শ্যামবাজারের আমদানিকারক পেঁয়াজ রসুন ও আদা ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একতরফা অভিযোগ সঠিক নয়। সব সময় বাজারে আমদানিকারকরা অস্থিরতা তৈরি করে না। কোনো কোনো সময় সুযোগসন্ধানী মধ্যস্বত্বভোগী একটি চক্র নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে যেকোনো নিত্যপণ্যের বাজারকে অস্থির করে তোলে। তারাই বাজারে পণ্যের সরবরাহে সংকট তৈরি করে। অহেতুক দাম বাড়ানোর গুজব ছড়ায়। আর সবকিছু মিলিয়ে এর খেসারত বাবদ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই দিতে হয় বাড়তি মূল্য। এবারও তাই হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার বরাত দিয়ে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের বাজারে। সহজে পরিবহনের কারণে সারা বছরই ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এর পরিমাণ মোট আমদানির ৯৫ শতাংশেরও বেশি। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় এ বছর বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল কমবেশি ২৫০ মার্কিন ডলার। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত তা বাড়িয়ে ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। এর দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত।

সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। মিসর থেকে বিমানে সে পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতেও শুরু করেছে। তবে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সুযোগটিই নেয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারক, পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ীদের সবপক্ষই এর সুযোগ নিচ্ছে এখন। মুহূর্তেই পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১০০ টাকায় উঠে যায়। এরপর তা লাফিয়ে ১১০ টাকা, ১২০ টাকা, ১৫০ টাকায় ওঠে। এরপর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও এবং টিসিবির ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলেও বাজারে দাম ২৫০ টাকার উঠেছে। এই দরবৃদ্ধি বেশ কয়েক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, বিদেশ থেকে ৪০-৪২ টাকায় পেঁয়াজ এনে তা কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি ওই ব্যবসায়ীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ প্রত্যাশা করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংকট মোকাবিলায় পেঁয়াজ আমদানিতে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপের পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে ১ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। পেঁয়াজে কোনো মুনাফা না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি খরচের যে হিসাব দিয়েছে, তাতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের ব্যয় ৪২ টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

টিপু মুন্শি বলেন, গত ছয় দিন ধরে মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ-তারা বলেছে, ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টন মাল দেবে। সবচেয়ে আনন্দের কথা তারা বলেছে, তারা এক টাকাও প্রফিট করবে না। যত কোটি টাকা লাগে ইনভেস্ট করবে। গত তিন দিন ধরে তারা টিসিবিকে যা দিয়েছে সেটা সর্বমূল্যে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪২ টাকা। সেই দামের কস্ট প্রাইসের কাগজ পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে।

ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থায় ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারা তো বিক্রি করছে বেশি, আপনাদের সেই মানবিক মূল্যবোধটা কোথায়? এই ধরনের মুনাফা লোভী; যারা দুর্ভিক্ষের সামনে, ক্রাইসিসের সামনেও নিজেদের মূল্যবোধকে জাগ্রত করে না, তারা ব্যবসায়ী হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, আগামী তিন বছরের মধ্যে যেভাবে হোক দেশকে পেঁয়াজে আত্মনির্ভরশীল হতেই হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ চলছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্যবসায়ী,পেঁয়াজ,কারসাজি,আমদানি,টিসিবি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close