আগামী ১০ দিন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকায় চালের বাজারে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তার এমন মন্তব্য আসে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সাত দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক আছে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র (সমস্যার) কারণ নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না, যদি কেউ কারসাজি না করে, গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।

সাধন মজুমদার বলেন, মিল ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে, মজুদের কোনো ঘাতটি নেই, আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, বরং রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত আছি। কেউ যেন চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে না পারে, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও বলা হয়েছে। যদি অনাহুত কেউ চালের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে কোনো ক্রমেই সহ্য করা হবে না, প্রশয় দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী তথ্য দেন, ২৬-২৭ টাকার মোটা চাল খুচরা বাজারে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে ভোক্তাদের ‘আঁতে ঘা’ লাগছে। সরকার এটা চলতে দেবে না। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এর বেশি করলে দেশেকে আপনারা শোষণ করতে বসেছেন, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে মনিটরিং করতে হবে।

সরকারি গুদামে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে এবং চাল ও গম মিলিয়ে মজুদের পরিমাণ ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মজুদের এই পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। ‘চালের দাম আর বাড়বে না’ এমন শপথ নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সাধন মজুমদার।

পিডিএসও/হেলাল