শাহজাহান সাজু

  ২১ মে, ২০১৯

এবার থাকছে না করের চাপ

আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এবার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও করের চাপ থাকছে না। কারণ নতুন করে কোনো পণ্য বা সেবায় কর চাপানো হবে না। বরং করপোরেটসহ ক্ষেত্রবিশেষে করহার কমানো হতে পারে। এ ছাড়া মূসক বা ভ্যাট খাতে থাকছে ব্যাপক সংস্কার। সেক্ষেত্রে অর্থবছরের শুরু থেকেই নতুন ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন (২০১২)’ কার্যকরের ঘোষণা থাকছে। সংস্কারের আওতায় থাকবে সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতও।

সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটের সব ধরনের কাজকর্ম প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খসড়া বাজেট তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ দিকনির্দেশনা নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করবেন।

জানা যায়, আসছে বাজেটে ভ্যাট খাতে বড় সংস্কার থাকবে। এজন্য ১ জুলাই থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর করা হবে। তবে নতুন আইনে কোনো পণ্যের ওপর ভ্যাট ও করহার বাড়বে না, উল্টো কমতে পারে। আইনটি বাস্তবায়নে কাউকে হয়রানি ও কষ্ট দেওয়া হবে নাÑ এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। তিনি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে ভ্যাট আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত নই। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগবে। এটি চলমান থাকবে। এক দিনে শেষ করা যাবে না। আইনটি কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীরাও শেষ পর্যন্ত এটি মেনে নিয়েছেন। এবার ব্যাংক খাতেও বেশ কিছু সংস্কারের ঘোষণা থাকবে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ আদায়ে গঠন করা হবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। সংশোধন করা হবে বেশ কিছু আইন। সুদের হার কমানো হবে। এ ধরনে ঘোষণা থাকছে আসছে বাজেটে।’

জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে আসছে বাজেটে। এ ছাড়া বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে। গ্রামকে শহরে রূপান্তরের ঘোষণা থাকবে। পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হবে গ্রামকে।

আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা; যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৭ হাজার ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রার পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পলী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রথম স্থানে রয়েছে। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এরপরই বিদ্যুৎ বিভাগে ২৬ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে আছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। বরাদ্দের পরিমাণ ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
থাকছে না,কর,চাপ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close