ই-কমার্স গড়ে তুলতে আমাদের চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো ইন্টারনেট, লেনদেন ব্যবস্থা, ডেলিভারি সুবিধা ও বিশ্বাস।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্সের সুবিধা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ই-কমার্সে ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে, পণ্যটি কীভাবে আসবে, যা অর্ডার করা হয়েছে তা ঠিক আছে কি না। যেমন : মোবাইল অর্ডার করলাম, ইট এলো, তাহলে হবে না। এ ছাড়া পণ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে আপনাদের।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে আমরা যে ব্যবসার কথাই চিন্তা করি না কেন, প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে সে ব্যবসার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রায় ২ হাজারের মতো উদ্যোক্তা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়াও আজকাল ই-কমার্সের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন শুধু ছবি শেয়ার করা কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না সোশ্যাল মিডিয়াকে। এটা কিন্তু মানুষের কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক যে কর্মকা- সেটাকেও বেগবান করছে।

তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া আমরা কীভাবে ব্যবহার করব, সেটা নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ওপর। আমরা ইচ্ছা করলে ভালো কাজেও ব্যবহার করতে পারি। সেটা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য কাজে বা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করতে পারি। কিংবা অন্য কাউকে অপমান, অপদস্থ করতেও সেটা ব্যবহৃত হচ্ছে।

‘আমরা সকলকে আহ্বান করতে চাই, একটা দেশ এবং জাতি কিন্তু একবারই সুযোগ পায়। এখন বাংলাদেশ একটা সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে, তাই আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা যেন আমাদের সব পণ্য নিজেরা তৈরি করতে পারি, সে বিষয়ে কাজ করতে হবে,’ বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী মনে করবেন না। আমাদের স্বপ্ন বড় থাকতে হবে। কীভাবে ব্যবসাকে আরো প্রসারিত করা যায়, সে চিন্তা থাকতে হবে। আপনাদের ই-কমার্স-সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা এসএমই ফাউন্ডেশনে মাধ্যমে আমরা প্রদান করার চেষ্টা করব।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিব উল্লাহের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মোশতাক হাসান, মানতাশা আহমেদ প্রমুখ।

পিডিএসও/তাজ