reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ মার্চ, ২০১৯

বাজারদর

মুরগি-ডিমের দাম বাড়ছেই

এক মাসের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। বিক্রেতাদের কাছে দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি। তারা বলছেন, মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে তা কম আসছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। ফলে দাম বাড়তি রয়েছে।

মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শোভা তাবাসুম বলেন, এক মাস আগে মুরগির কেজি ছিল ১৩০ টাকা। বাড়তে বাড়তে এখন তা ১৬০-এ গিয়ে ঠেকেছে। এভাবে চলতে থাকলে মুরগির মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা রহুল আমিন জানান, তারা কাপ্তান বাজার থেকে বেশি দামে মুরগি কিনে আনছেন। ফলে কম দামে বিক্রির কোনো উপায় নেই।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৩০ টাকা; পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২৪০ টাকা; কক প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২১০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪১৫ টাকা; টারকি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, যা জানুয়ারিতে ছিল ২৭০ টাকা। এদিকে মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা। জানুয়ারি মাসে প্রতি ডজন ডিম ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকায়।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৪-১৬ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০-২২ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা, টমেটো বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা, শিম ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, প্রতি কেজি গাজর ১৫-২০ টাকা, শালগম ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০-৫০ টাকা। প্রতি আঁটি কলমি ও লালশাক ১০-১৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা এবং পুঁইশাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে প্রচুর সবজি আছে। ফলে কোনোটার দাম বাড়েনি বা কমেনি। তবে আর ১০ দিন পরই শীতের সবজি শেষ হয়ে যাবে। তখন আবার সবজির দাম বাড়বে বলে জানান তারা।

বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হয়েছে সব ধরনের মাছ। প্রতি কেজি রুই আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২২০-৪০০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪২০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, শোল ৬০০, পাবদা ৪৫০-৫০০, টেংরা ৫০০-৬৫০, শিং ৪০০-৬০০, মাগুর ৭০০-৮০০, বোয়াল ৫০০-৮০০, চিতল ৫০০-৮০০ ও আইড় ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। তবে মোটা চালের দাম কেজিতে ১ টাকা কমেছে। নাজির ৫৮-৬০ টাকা। মিনিকেট ৫৫-৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। স্বর্ণা ৩৫-৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ২৮, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি আমদানি ৫০, দেশি চিনি ৫৫, মসুর ডাল ৮৫, মুগ ১১০, মটর ৬০, ছোলা ৮০, ডাবলি ৪২, ৪০-৯০, লবণ ৩০-৩৫, পোলাওর চাল ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই বাজারভেদে ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এ সপ্তাহে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মুরগির দাম,ডিম,কাঁচাবাজার,বাজারদর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close