নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মাছ-মুরগির দাম চড়া, কমেছে চালের দাম

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরাবাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা কমেছে। এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের মাছসহ ব্রয়লার, লেয়ার ও দেশি মুরগি।

তবে বেশির ভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও চায়না থেকে আমদানি করা আদার দাম কেজিতে কমেছে ৪০ টাকা। আর রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে ডাল, ডিম, চিনি, তেলসহ অন্য নিত্যপণ্য। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মহাখালী কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬২ টাকা, বর্তমানে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, বর্তমানে ৪২ টাকা। বিআর ২৮ নম্বর ৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে যে দাম ছিল, সে দামে আর ফিরে যায়নি। সে সময় থেকে এখনো কেজিপ্রতি দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের চাল।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর থাকাই বেশির ভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে করলা ও ঝিঙা। বাজার ও মানভেদে করলা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। এরপরেই রয়েছে লাউ। বাজার ও মানভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ থেকে ২০ পিস, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস, শালগম ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি, মুলা ১০ থেকে ২০ টাকা এবং পাকা টমেটোর কেজি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া নতুন আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৫ থেকে ২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের। আগের সপ্তাহের মতো দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি

করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা, পালং শাক ৫ থেকে ১৫ টাকা আঁটি, লাল ও সবুজ শাক ৫ থেকে ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ২০ টাকায় ও সরিষা শাক ৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সবজির দামের বিষয়ে মহাখালী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবুল চৌধুরী বলেন, বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর রয়েছে। যেকারণে সবজির দাম তুলনামূলক কম। শীতের সবজি শেষ হয়ে এলেই আবার সবজির দাম বেড়ে যাবে।

এদিকে, গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে। লাল কক মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকা কেজিতে। আর পাকিস্তানি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ী আলামিন জানান, বেশ কিছুদিন মুরগির দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই মুরগির দাম বাড়তি। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পাকিস্তানি মুরগির দাম। যে হারে এই মুরগির দাম বাড়ছে, তাতে হয়তো শিগগিরই ৩০০ টাকা কেজি হয়ে যাবে।

মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে মাছ। রুই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০, টেংরা ৫০০ থেকে ৬৫০ তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা ৭০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাজারদর,কাঁচাবাজার,মাছের দাম,মুরগির দাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close