নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ জুন, ২০১৮

কাঁচামরিচের বাজারে ঝাল, চালের দাম বাড়তি

ঈদ পরবর্তী সবজির বাজারে সরবরাহ কম থাকার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, গত দুই সপ্তাহে তা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এ কারণে দামও অনেকটা স্বাভাবিক। পটল, বরবটি ও ঢেঁড়সের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। দাম বেড়েছে টমোটের এবং দ্বিগুণ দাম হয়েছে কাঁচামরিচের।

এ ছাড়া চালের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিংগা, বেগুন, কাকরোল, ঢেঁড়স, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে ভরপুর।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে। অথচ, রোজার সময় কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে মহাখালী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সাদেক হোসেন বলেন, আড়তে মরিচ খুব অল্প ছিল। যে ব্যবসায়ীরা সকাল সকাল আড়তে এসেছিলেন তারা কিছু মরিচ কিনতে পেরেছেন। কিন্তু যারা পরে এসেছেন তারা কিছুই পায়নি।

এই ব্যবসায়ী বলেন, রোজায় এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি ১০-১৫ টাকা। এখন তা ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। সামনে দাম আরো বাড়তে পারে। কারণ বৃষ্টিতে অনেকের মরিচের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাজার ও মান ভেদে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা রোজার সময়ে ছিল ৪০-৫০ টাকা। আর রোজার শেষের দিকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুন, ঝিঙা ও ধুন্দলের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে পটল, ঢেঁড়স, করলা, বরবটি। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। রোজায় দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। অথচ, ঈদের আগে এই সবজিটির দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। আর ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। ৪০-৫০ টাকা কেজির বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা।

আর দাম কমার তালিকায় রয়েছে, কাকরোল ও পেঁপে। রোজায় ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাকরোলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। আর ৭০-৭৫ টাকা কেজির পেঁপের দাম কমে এখন হয়েছে ২৫-৩০ টাকা। সবজির দামে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও সব ধরণের শাকের দাম বেড়েছে। রোজার মধ্যে ৫-১০ টাকা আটি বিক্রি হওয়া লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাকের দাম বেড়ে ১০-১৫ টাকা আঁটি হয়েছে। ২০-২৫ টাকা আটি বিক্রি হওয়া পুইশাক ও লাউ শাকের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০-৩৫ টাকা।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ঈদের আগে স্থীতিশীল থাকলেও হঠাত করেই বেড়েছে চালের দাম। মোটা স্বর্ণা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৪ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪২। পাইজাম ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হলেও আগের সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা দরে। তবে বিক্রেতার বলছেন গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিপ্রতি আরো দুই টাকা কম ছিল।

উল্লেখ্য, জুনের শুরুতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় চাল আমদানির ওপর আবারও ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী বিনা খরচে এলসি খোলার সুবিধা রোহিত করা হয়েছে। এসব কারণে চালের দাম আরো বাড়ার আভাস দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বাজার ও মান ভেদে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। ঈদের আগেও পেঁয়াজের দাম এমনই ছিল। রোজার মাসে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সাদা বয়লার মুরগির দাম বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দাড়িয়েছে। গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাজারদর,নিত্যপণ্যের দাম,চালের দাম,সবজির দাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist