এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সামিটে মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি
টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন হয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে সরকার কাজ করছে। তখন বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত ও অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি এবং বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। দেশের জ্বালানির বাজার এখন বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত। মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চীনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি উইসপুল গ্রুপ, ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস ফোরাম এবং এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ২ দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সরকার ২০০৯ সালে এসে বিদ্যুতের সমস্যা দূর করতে রেন্টাল কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছিল। এখন টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিত করতে সমন্বিত জ্বালানি মিশ্রণ নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নও করা হয়েছে।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সাশ্রয়ে মনোযোগ দিতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভবিষ্যতে বড় সমাধান নিয়ে আসতে পারে। তবে এখন বিদ্যুতের তিনটি হাব, কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে জ্বালানি চাহিদার বড় অংশ মেটানো হবে। এলএনজি আমদানি প্রয়োজন মতো করা হবে। সংকট যেন না হয় তাই এলএনজি মজুদের জন্য ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত বা পরিত্যক্ত হবে এমন গ্যাসকূপগুলোকে ব্যবহার করা হতে পারে। এ জন্য উপযোগিতা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। কিন্তু অনেক মানুষ। বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রয়োগে উদ্ভাবনী শক্তি-চিন্তা ব্যবহার করতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দ্বিতীয় সেশনে মোট ৫টি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন হয়। সেখানে পিডব্লিউসির সিনিয়র কনসালটেন্ট নাবিলা সাজ্জাদের সঞ্চালনায় পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন, বেজার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) এমদাদুল হক, এডিবির বাংলাদেশ রেসিডেন্ট মিশনের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সেরিন ইব্রাহিম, ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এসোসিয়েশনের সিনিয়র অ্যাডভাইজার শাহ নেওয়াজ আহমেদ, পিডব্লিউসির মামুন রশিদ বক্তব্য দেন। দুইটি প্যানেল ডিসকাশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এলএনজির বাজার এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পিডিএসও/মুস্তাফিজ