নবায়নযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সম্প্রসারনে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা
পল্লী এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সম্প্রসারনে বিশ্বব্যাংকের সাথে ৫৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। গ্রাম, চর ও দ্বীপাঞ্চলে বসবাসকারী ১ কোটি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে ও জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলার সম্প্রসারনে এই অর্থ ব্যয় হবে। চলমান পল্লী বিদ্যুতায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি (আরইআরইডি- ২) প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে ১০০০-টি সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প, ৩০টি সোলার মিনিগ্রীড এবং গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৪০ লক্ষ উন্নত মানের রান্নার চুল্লি স্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্ব ব্যাংক অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার। বিশ্ব ব্যাংক এ পর্যন্ত ২৮ বিলিয়ন ডলার সুদমুক্ত ঋণ ও অনুদান দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অন্যতম।
২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত ও পল্লী এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ সম্প্রসারনে সহায়তা করে আসছে। বর্তমানে দেশটিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সৌরশক্তি পরিচালিত কর্মসূচি রয়েছে যা দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের চাহিদা পূরণ করে। গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের আরো অতিরিক্ত ২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তায এ প্রকল্পে উন্নত মানের রান্নার চুল্লির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে যা থেকে ৯০ শতাংশ কম কার্বন নি:সরণ ঘটবে এবং গতানুগতিক চুল্লিতে ব্যবহৃত জ্বালানি কাঠের তুলনায় অর্ধেক জ্বালানি কাঠ ব্যবহৃত হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে গ্রীনহাউজ গ্যাস নি:সরণ এবং অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের পরিমাণ হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজি শফিউল আজম ও বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাওয়া এই ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এতে শূণ্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।পিডিএসও/মুস্তাফিজ