শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলাম কার্যক্রম চলছে
প্রথম নিলামে ১১ হাজার টাকা কেজি দরে চা বিক্রি
চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্রীমঙ্গল অকশন সেন্টারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চায়ের বায়ার ও ব্রোকার্সরা এতে অংশ নিয়েছেন। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত টি প্ল্যান্টার অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিপিটিএবি) উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেটবাসীর বহুল প্রতিক্ষিত এ কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আর মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে এমএম ইস্পাহানি চা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মির্জা সালমান ইস্পাহানি, ফিনলে টি’র চিফ অপারেটিং অফিসার এএম শামসুল মহিত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
নিলামের শুরুতেই ইস্পাহানীর জেরিন চা বাগানের প্রতি কেজি ১১ হাজার টাকা দরে কিনে নেন ইস্পাহানী চা কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মির্জা সালমান ইস্পাহানি। এই দরে ২২০ নং লটে ৫৮৪ কেজি ৫শ’ গ্রাম চা কিনে নেন তিনি। দুপুর ২ টা নাগাদ পৌনে ৫ লক্ষ কেজি চা পাতা প্রায় ১২ কোটি টাকায় বিক্রি হয়। চা নিলাম কার্যক্রমে ন্যাশনাল ব্রোকার্স, পূর্ববাংলা ব্রোকার্স, কেএস ব্রোকার্স, প্রোডিউস ব্রোকার্স, প্রোগ্রেসিভ ব্রোকার্স, ইউনিটি ব্রোকার্স এবং প্লান্টার ব্রোকার্স অংশ নেয়।
এদিকে দুপুর ২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর থেকে শ্রীমঙ্গল নিলাম কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
দেশের সিংহভাগ চা উৎপাদনে সিলেট অঞ্চলের একক আধিপত্য থাকলেও পণ্যটির আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে। সিলেট থেকে উৎপাদিত চা চট্টগ্রাম নিয়ে এর পর তা নিলামে তোলেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে মান কমার পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় যুক্ত হওয়ায় চায়ের দাম বেড়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন থেকে মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে চায়ের নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা। অবশেষে তাদের দাবি পূরণ হলো।
টিপিটিএবি’র সদস্য সচিব জহর তরফদার বলেন, প্রায় দেড় শতাধিক বায়ার এই নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
পিডিএসও/তাজ