নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ মে, ২০১৮

মুরগি ও পেঁয়াজের দাম আরো বাড়ল

রোজার আগে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম। তবে রসুনের দাম কমে এলেও পেঁয়াজে বেড়েছে আরেক ধাপ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে; মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে বলেও বিক্রেতারা জানিয়েছেন। কারওয়ান বাজারের মুরগির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৫৫-১৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২০০ এবং পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা আবুল বাশার মনা বলেন, এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়তি। একটু একটু করে বেড়ে এখন সব ধরনের মুরগির দামই ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়ার পর চলতি সপ্তাহেও আরো দুই টাকা বেড়েছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪২ আর ভারতীয় ৩৫ টাকা।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চীনা রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা হওয়ার পর তা আবার কমেছে। খুচরায় ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রসুন। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সেকেন্দার আলী বলেন, জেলার মোকামগুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই ধীরে ধীরে ঢাকায়ও দাম বাড়ছে।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোনো পণ্যের দাম ২-৪ টাকা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া ব্যবসা বাণিজ্যের স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কেউ যদি মজুদদারি করে বা বাজারে একক আধিপত্য সৃষ্টি করে, তা হবে অপরাধ। কিছুদিন আগে প্রায় এক সপ্তাহের ছুটি ভোগ করেছে দেশ। তখন আমদানি ঘাটতির কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছিল। আশা করি এটা ঠিক হয়ে যাবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে উৎপাদনকারী, আড়তদার, পাইকারদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী যাতে কারসাজি করতে না পারে; সেজন্য সরকারি নজরদারি চালু করার দাবি জানান তিনি। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত শাকসবজি উৎপাদন হলেও সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় দামে ভারসাম্য থাকে না।

মৌসুমে কৃষকরা আলু, টমেটো বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দেন। আবার মৌসুম শেষে এসব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। এজন্য সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু থাকা দরকার। বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে শাকসবজির দামও স্থিতিশীল আছে।

এদিন কারওয়ান বাজারে পটোল ৩০ টাকা, শসা ৪০, টমেটো ৪০, বরবটি ৩৫, ঢেঁড়স ৩০, বেগুন ৪০, চিচিঙা ৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। আর মীরপুর বড়বাগ বাজারেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সেখানে বেগুন ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০, ঢেঁড়স ৩০, পটোল ৪০, টমেটো ৪০, শসা ৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর বড়বাগে আল মদিনা জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মাহমুদ হোসেন বলেন, এবার রোজায় অধিকাংশ মুদিপণ্যের দামই স্থিতিশীল। সবচেয়ে ভালো ছোলার দাম ৫ টাকা কমে ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় পৌঁছেছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কাঁচাবাজার,দাম বাড়ল,মুরগির দাম,পেঁয়াজের দাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist