নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ মে, ২০১৮

ফিরছে স্বস্তি রেমিট্যান্স প্রবাহে

অর্থবছরের ১০ মাসে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১৭ শতাংশ

আবারও রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় নিয়ে দুশ্চিন্তা কমছে। ফিরছে স্বস্তি। টানা দুই অর্থবছরের রেমিট্যান্স প্রবাহে পড়তি ধারার পর এ বছর রেমিট্যান্স ইউটার্ন করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-১৭ থেকে এপ্রিল-১৮) রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এ সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ১ হাজার ২০৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ১৮০ কোটি ডলার বা ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে গত এপ্রিলে ১৩২ কোটি ৭২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। আর আগের মাস মার্চের তুলনায় বেড়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, অনেক কারণে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি, ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে খোলাবাজারের ডলার দরে তারতম্য কমে আসা, অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানসহ বিভিন্ন কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এক বছর আগের তুলনায় প্রতি ডলারে এখন ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি পাচ্ছেন রেমিটাররা।

এছাড়া প্রবাসীদের কাছে গিয়ে যেসব হুন্ডিকারী অর্থ সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।

গত অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলাওে নেমে আসে। এর আগের অর্থবছরে কমে ছিল ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর আগে দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এভাবে রেমিট্যান্স কমতে থাকায় তা সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সর্বশেষ হুন্ডি চ্যানেলের সবচেয়ে বড় উপায় হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম উঠে আসায় তা ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উত্তরণ ঘটছে। তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়েছে। ফলে সেখানকার প্রবাসীরা এখন বেশি আয় করছেন। যার ফলে বেশি অর্থ দেশে পাঠাতে পারছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের রেমিট্যান্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ— সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে। জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়াও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রেমিটেন্স প্রবাহ,স্বস্তি,প্রবাসী আয়,কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist