টঙ্গীতে দুর্ঘটনা : ট্রেন চলাচল শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীতে কমিউটার ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রোববার বিকালে ট্রেনটি উদ্ধার করা হলে সাড়ে ৫ টার দিকে রেল চলাচল শুরু হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫ জন মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সকালে জামালপুর থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় আসছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নতুনবাজার এলাকায় আসার পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ভয়ে ছাদের ওপর ও ভেতরে থাকা অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন এবং হাসপাতালে একজন নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনস্থলে ৪ জনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। এছাড়া একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রিলিফ ট্রেন এসে আপ লাইন (ঢাকা থেকে যে লাইনে ট্রেন টঙ্গীতে আসে) ক্লিয়ার করলে সেই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলে টঙ্গীর স্টেশন মাস্টার হালিমুজ্জামান জানান।
ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়া জাহান জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈশাখা এক্সপ্রেস ওই দুর্ঘটনার কারণে আটকে ছিল। লাইন ক্লিয়ার হওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৫ টায় ট্রেনটি টঙ্গী অতিক্রম করে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই রাকিবুল হক জানান, টঙ্গী জংশন ছাড়ার পরপরই নতুনবাজার এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে জামালপুর কমিউটার। ট্রেনটির পেছনের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হলেও গতির কারণে ওই অবস্থায় ট্রেনটি কয়েকশ গজ এগিয়ে যায়। এক পর্যায়ে একটি বগি কাত হয়ে যায়। আর কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. ইয়াসিন জানান, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর ছাদে থাকা যাত্রীরা লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয় এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।পিডিএসও/মুস্তাফিজ