এডিবির প্রতিবেদন
এবার ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস
চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয় ও সরকারি বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে। তবে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রফতানি আয় আরো শক্তিশালী করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এডিবির কার্যালয়ে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৮’ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সুন চ্যান হং। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়।
সংস্থাটি বলছে, অর্থনৈতিক অগ্রতির ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। পরপর তিন বছর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এটারই প্রমাণ। তবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রফতানি আয় প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত হতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকার, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি তিন রকম হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাক্কলন অনুযায়ী, এবার প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর বিশ্বব্যাংকের হিসেবে এটি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও সরকার বলছে উন্নয়ন সহযোগিদের প্রবৃদ্ধিবিষয়ক হিসাব একেবারেই অনুমান নির্ভর।
এডিবির মতে, প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা ধরে রাখতে রফতানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। শুধু পোশাক শিল্প ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভিরশীল হলে চলবে না। রফতানিতে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হাল্কা প্রকৌশলী শিল্প, ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, সফটওয়ার, আইটি খাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধিতে ভালো করেছে। গত তিন বছরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে- এটা কম অর্জন নয়। ২০১৬ সালে ৭ দশমিক ১, ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ এবং ২০১৮ সালের শেষে ৭ শতাংশ অর্জন অনেক ভালো।
এডিবি মনে করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো পথে আছে। এটা ধরে রাখা কম কথা নয়। বিশ্বের কম দেশেই আছে বাংলাদেশের মতো ঊর্ধ্বগতির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
পিডিএসও/তাজ