‘উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম’
উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যেসব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম। রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালে পুরোপুরি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ। বর্তমানে যেসব দেশ অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) দেয়, তারা তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত দেবে। এরপর তারা দেবে জিএসপি প্লাস সুবিধা। দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আবার যেসব দেশ জিএসপি দেয় না, সেগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশুশ্রম বন্ধ এবং রফতানি ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে।
পিডিএসও/তাজ