নিজস্ব প্রতিবেদক
‘তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারে ধস’
পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতনের নেপথ্যে তারল্য সংকটকে দায়ী করেছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাঙ্গণে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাজারে ফান্ডের সংকট রয়েছে। ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা চেষ্টা করলেও বাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতার কারণে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে না। ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদ অনুপাতের (এডিআর রেশিও) জটিলতায় পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’ ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা (সংগঠন) বারংবার বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি এক্সপ্লোজার লিমিট কস্ট প্রাইজের (ক্রয় মূল্য) ভিত্তিতে গণনা করার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কেট প্রাইজের ভিত্তিতে তা গণনা করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো শেয়ারকে এক্সপ্লোজারের আওতায় গণনা করছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এডিআর রেশিও সমন্বয় করলেও তার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে।’ এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক জেগে ঘুমাচ্ছে। অর্থমন্ত্রীও বাংলাদেশ ব্যাংককে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তা করছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আইসিবির কাছেও পর্যাপ্ত মূলধন নেই। তাই তারাও বাজারে সাপোর্ট দিতে পারছে না।’ নাসির উদ্দিন আরো বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে। তারা তাদের সাবসিডিয়ারির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বানিয়োগ বাড়াতে পারে।’
পিডিএসও/তাজ