নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মার্চ, ২০১৮

চালের বাজারে ফের অস্থিরতা

রাজধানীর বাজারে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। আগে একাধিকবার দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ভোক্তারা। এর মধ্যে ফের চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া না হলে এ দাম আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, চলতি মাস থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) এবং হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পাইজাম ও লতা ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা এবং স্বর্ণা ও ইরি ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা দামে বিক্রি হয়। অথচ গত সপ্তাহে সেই চাল প্রতি কেজিতে দুই-তিন টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।

মোহসিন আলী নামের এক ভোক্তা গত শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে পাঁচ কেজি চাল কিনেছেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেই চালের দাম দুই ধাপে বেড়েছে বলে জানান তিনি। মোহসিন আলী বলেন, ‘শুক্রবার মিনিকেট চাল কিনেছি ৬৫ টাকা করে। ওই চাল দুই সপ্তাহ আগে ৫৯ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছিলাম। এভাবে চালের দাম বাড়লে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষদের অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে।’ গত ৪ মার্চ কারওয়ান বাজারে ১০ কেজি চাল কেনেন নাহিদ হাসান নামের একজন ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘মিনিকেট চাল কিনেছি ৬১ টাকা করে।’

ভোক্তারা জানান, এভাবে প্রায়ই চালের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ দাম বাড়ানোর পেছনে মিল মালিকদের যোগসাজশ আছে। সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষর কষ্টে পড়বেন। কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়াজি জানান, মৌসুমের শেষদিকে হওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। সঙ্গে অন্য চালের দামও বেড়েছে।

চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম লায়েক আলী বলেন, ‘সাপ্লাই নাই, ৯৫ ভাগ মিল বন্ধ, মাত্র ৫ ভাগ মিল চালু। ডিলারের সাপ্লাই দিয়ে বাজার কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণ) আনা যাবে না, যদি সরকার স্টেপ (উদ্যোগ) না নেয়। এ মুহূর্তে ওএমএস চালু করা দরকার। তা না হলে এ দাম বাড়বে ছাড়া কমবে না।’ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘চালের দাম কমে গেছে। আর যদি বেড়ে যায় তাহলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন উনি।’

ওএমএস প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীসহ প্রত্যেকটা জেলায় ৩ তারিখ (মার্চ) থেকে ওএমএস চালু হয়েছে; ৩০ টাকা কেজি করে চাল ও ১৭ টাকা করে আটা। ১ তারিখ থেকে ১০ টাকার চালও চলছে। রাজধানীতে চালও চলতেছে, আটাও চলতেছে। সব জেলায় চাল ও আটা চলতেছে। এরপর থেকে তিন টাকা করে কমে গেছে চালের দাম।’

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাল,চালের দাম,চালের বাজার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist