নগরের সব কারখানা অর্থনৈতিক অঞ্চলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
টাস্কফোর্সের সভায় সিদ্ধান্ত
ঢাকাসহ সব মহানগরীর শিল্প কারখানাগুলো বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানান্তর করবে সরকার। সচিবালয়ে রোববার ‘বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ছাড়াও টাস্কফোর্সর সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে টাস্কফোর্সর প্রধান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাসহ আটটি বিভাগে বড় বড় শহরে যেখানে শিল্পাঞ্চল আছে সেখানে যাতে নতুন করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি। যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের মধ্যে আছে সেগুলো ইকনোমিক জোনে (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) নিয়ে যাব, ১১০টি ইকনোমিক জোন রয়েছে। ঢাকাসহ সব মহানগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থনৈতিক জোনে যেতে হবে, যেভাবে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে নিয়ে গেছি। তবে কত দিনের মধ্যে এবং কোন পদ্ধতিতে নগর থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করা হবে- সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি শাজাহান খান।
নৌমন্ত্রী বলেন, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) থাকার পরও তা চালু রাখে না তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে ইপিটি সমস্যার সমাধানে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইটিপির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যারা কাজ করছে তাদের বিল না নেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে স্থাপিত পিলারের মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি নিয়ে আপত্তি পাওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুনঃজরিপ করে ৭৬২টি পিলার পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, বাকিগুলোও করা হবে। জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর তীরে কেউ যাতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। যারা নদী দখল-দূষণ করছে তারা আইন মেনে না চললে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান নৌমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নদীর তীর অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএর অধীনে কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হবে, যাতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালানো যায়। নদীপথের নিরাপত্তা প্রশ্নে নৌ পুলিশ আছে, পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ নৌ নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি বাহিনী বা একটি কর্মী বাহিনী তৈরি করবে।
পিডিএসও/তাজ