কার্গো বিমানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশ থেকে কার্গো বিমানে পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হলো। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি) এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবছর পর কার্গো নিয়ে সরাসরি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে আকাশে উড়তে যাচ্ছে বিমান। সিভিল এভিয়েশন সংশ্লিষ্টদের আশা, খুব শিগগির অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
যুক্তরাজ্য সরকার নিরাপত্তার অজুহাতে ২০১৬ সালের মার্চে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার দেশে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাজ্যের পর অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশও নৌ ও আকাশপথে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইইউর টিম বাংলাদেশকে সরাসরি কার্গো রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
২০১৬ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞার ফলে বছরে বিমানে ৩০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হুমকির মুখে পড়েছিল। ব্যাহত হয়েছিল দেশের ভাবমূর্তি। ধস নেমেছিল বিমানের কার্গো ব্যবসায়। তবে এতদিন অন্য দেশের মাধ্যমে রি-স্ক্যানিং করে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় কার্গো রফতানি অব্যাহত ছিল।সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর বিমানের দশম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমানের মুনাফায় প্রভাব পড়েছে। কার্গো পরিবহন খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান ৩৩ হাজার ৫৪২ টন মালামাল পরিবহন করেছে, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪০ হাজার ৯৩১ টন। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহণের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
পিডিএসও/তাজ