নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের মূলধন জোগানে পিছিয়ে পুঁজিবাজার
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাত্র ৩ শতাংশ মূলধনের জোগান দিচ্ছে পুঁজিবাজার
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাত্র ৩ শতাংশ মূলধনের জোগান দিচ্ছে পুঁজিবাজার। যেখানে ভারতীয় পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ মূলধনের জোগান দেওয়া হয়েছে গত বছরে। মূলত আইপিও অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রতা, উদ্যোক্তা পরিচালকদের কর ফাঁকির প্রবণতা এবং দক্ষ জনবলের অভাবে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্পায়নে আইপিওর গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে প্রাথমিক শেয়ার, রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ৪ হাজার ১৪০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পুঁজিবাজার থেকে আইপিও এবং রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
একই সময় ব্যাংক থেকে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম হিসেবে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১০৭ কোটি প্রদান করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক শেয়ারের মাধ্যমে ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো। যেখানে এ সময় ব্যাংক থেকে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম হিসেবে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ শিল্প খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে মাত্র ৩ শতাংশ অর্থ জোগান দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মীর্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজার হচ্ছে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম। এছাড়াও ব্যাংক, অর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আরো উৎস রয়েছে। কিন্তু অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম থাকলেও বিনিয়োগে স্থবিরতা রয়েছে।
২০০৮-০৯ সালে ব্যাংকিং খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ২১.৯ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ২৩.০১ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এ সময় মাত্র ১ শতাংশ ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ প্রমুখ।
পিডিএসও/তাজ