নিজস্ব প্রতিবেদক
মিলারদের কারসাজিতে বেড়েছে চিকন চালের দাম
মোটা চালেরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা...
পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মিনিকেট বা চিকন চালের দাম। কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজারেও ৫০-৬০ টাকা বেশি দরে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে। চিকন চালের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরের চুলায় যে মোটা চাল যায় সেটিরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। আর এরই মধ্যে অনেকে মোটা চাল ১-২ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন।
খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ তারা দেখছেন না। মিনিকেট চালের মিল মালিকদের কারসাজিতে হঠাৎ করে চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল শনিবার মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চালের দামের ভিন্নতা দেখা গেছে।
মিরপুরে-৬ নম্বর সেকশনে মসজিদ মার্কেটে মেসার্স নর্থ বেঙ্গল জেনারেল স্টোরের মালিক এসএম আলাউল হক রনি জানান, রশিদের মিনিকেট চালের বস্তা এক সপ্তাহ আগে ৩ হাজার ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৩ হাজার ১৫০ টাকা, মোজাম্মেলের মিনিকেটেরও একই দাম বেড়েছে। মিনিকেট হিসেবে চিকন চাল মূলত মোজাম্মেল ও রশিদের মিল থেকেই আসে।
খুচরা হিসেবে মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুনেছি দাম আরো বেড়েছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। চালের দাম বৃদ্ধির তারতম্য দেখা গেল ফকিরবাড়ি বাজারে।
জামালপুর রাইস এজেন্সির প্রোপাইটর শরিফুল ইসলাম সবুজ জানান, রশিদের মিনিকেট ও মোজাম্মেলের মিনিকেটের বস্তা সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রহমান স্পেশাল ও জবা কাটিং মিনিকেটের বস্তার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রহমান স্পেশাল ৩ হাজার ২৮০ টাকা এবং জমা মিনিকেট ২ হাজার ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পিডিএসও/তাজ