সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
‘মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মাছ ও মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা অনুযায়ী একজন মানুষের দিনে অন্তত ৬০ গ্রাম মাছ খাওয়া প্রয়োজন। আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ১২০ গ্রাম মাংসের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে দৈনিক মাথাপিছু মাংসের প্রাপ্যতা ১২১ দশমিক ৭৪ গ্রাম, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। ফলে চাহিদা অনুযায়ী মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
আর মৎস্য খাত বর্তমানে দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশের যোগান দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ সুখবর দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রইছউল আলম মণ্ডল ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থ বছরের থেকে ৫৩ শতাংশ বেশি। আর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যাত্রার বিপরীতে ৭১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে বলে জানান নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে মৎস্য আহরণে বিশ্বে চতুর্থ এবং মাছ চাষে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। মাছে-ভাতে বাঙালি ঐতিহ্য আমরা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
পিডিএসও/হেলাল