‘ব্যাংক খাতে জালিয়াতি কমেছে’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের কারণে ব্যাংক খাতে জালিয়াতি কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ পাচ্ছে সেখানেই দুদক অনুসন্ধান করছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে কাইট বাংলাদেশের সঙ্গে এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বর্তমানে যেসব জালিয়াতির তদন্ত হচ্ছে এর সবগুলোই ২০১৭ সালের আগে। ২০১৭ সালে ব্যাংকিং খাতে বড়ধরনের কোনো জালিয়াতির ঘটনা আমার চোখে পড়েনি। এক্ষেত্রে আমরাও কঠোর অবস্থানে আছি। কোথাও দুর্নীতির অভিযোগ পেলে আমরা অনুসন্ধান করছি। সে হিসেবে আমি বলতে পারি দুদকের তদন্তের কারণে ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি কমেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের শুধু শিক্ষা মন্ত্রণাল নয়, সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত দুদকের কার্যক্রম বিস্তৃত। আমরা যেখানেই অবৈধ সম্পদ বা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাবো সেখানেই অনুসন্ধান করবো। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনের দুর্নীতির অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালের যে দুজন কর্মচারীকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তথ্য আমরা জেনেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। যেখানেই দুর্নীতি পাবো আমরা অনুসন্ধান করবো।
শুধু জিপিএ ফাইভ ও সার্টিফিকেটের পেছনে না ঘুরে পাঠ্যশিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে বলে মনে করেন দুদক চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে পরিবারের পাশাপাশি তিনি সামাজিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সততাই সেরা নীতি এই আদর্শের আলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে দুদক দেশব্যাপী ২১ হাজার মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসায় সততা সংঘ গঠন করে। এই সংঘটি দুদকের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠনের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাইট বাংলাদেশ নামক সংগঠনটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) সই করে দুদক।
পিডিএসও/হেলাল