হোম টেক্সটাইলের বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা
গৃহ বা অফিসে ব্যবহার হওয়া টেক্সটাইলসামগ্রী বা হোম টেক্সটাইলের আন্তর্জাতিক বাজারের আকার শত বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বেশ আগে। সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি এক শতাংশেরও নিচে। এখানে চীন ছাড়াও তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানিসহ বেশকিছু দেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে।
তবে দেশের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তৈরি পোশাকের মত হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতেও বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি, যথাসময়ে জাহাজীকরণ, মান ধরে রাখা এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে বিশ্ববাজার, বিশেষত ইউরোপের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইল পণ্যসামগ্রী। ফলে সেখানে রপ্তানিও বাড়তির দিকে।
সম্প্রতি ইউরোপের দেশ জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে হোমটেক্সটাইলের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনীর আয়োজন করে মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট। ‘হিমটেক্সটিল’ নামে ওই প্রদর্শনীতে বিশ্ব থেকে ২ হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। আর ১৩০টি দেশের প্রায় ৭০ হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত হন ওই প্রদর্শনীতে। ক্রেতা বিক্রেতার বাইরেও আর্কিটেক্ট, ডিজাইনার, ইন্টারনাল ডেকোরেটর, প্রজেক্ট প্ল্যানার, ইন্টেরিয়র ডেকোরেটররাও অংশ নেন। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেরও ১৭টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
হোম টেক্সটাইল রপ্তানিকারকরা সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেছেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে তুলা উৎপাদনকারী দেশের কাছ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের অনিশ্চয়তা, অবকাঠামো দুর্বলতা রয়েছে। বিশাল বিনিয়োগের এ খাতে আসবে কিনা—তা নিয়ে দ্বিধায় থাকে অনেকে। এ কারণে এখনো এ খাতে উদ্যোক্তার সংখ্যা হাতেগোনা। এসব বিষয়ে সরকারকে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাবের এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের এমডি রফিকুল ইসলাম নোমান।
পিডিএসও/হেলাল