৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার ৫টি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই, পরীক্ষা যথাসময়েই হবে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আজকের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্থগিত হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ৩টি ব্যাংকের পরীক্ষা বাদে অন্য ৫টি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা যথাসময়েই নেয়া হবে। প্রসঙ্গত একসঙ্গে ৮টি সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসারের (সাধারণ)’ ১ হাজার ৬৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগের পরীক্ষা ১২ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে ওই পরীক্ষার আসনবিন্যাসও দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের এক ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার কথা।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৫২৭টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ১৬১টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে ২৮৩টিসহ মোট ৯৭১টি পদের নিয়োগ স্থগিত থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৩৯টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ৩৫১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২৩১টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) ৭০টি পদসহ মোট ৬৯২ পদের নিয়োগ পরীক্ষা হবেই। তিনি বলেন, আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি। যাতে জটিলতা এড়িয়ে আরও নিয়োগ দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছি।
গত রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা, কর্মকর্তাসহ (ক্যাশ) বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ না করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত বছর দেওয়া পৃথক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৬ সালের পৃথক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ৩টি ব্যাংকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা ২৮ প্রার্থী গত বছরের শেষ দিকে ওই রিটটি করেন। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে রিট আবেদনকারীরা ওই ৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন পদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো কোনো পরীক্ষা নেয়নি।
তবে ২০১৭ সালে নতুন করে একই পদের জন্য গত বছরের ২৩ ও ২৯ আগস্ট এবং ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে এমসিকিউ পরীক্ষার দিন নির্ধারণ হয়েছে। এটি বৈষম্যমূলক বলে রিটটি করা হয়। রুলে ওই ৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন পদে নিয়োগসংক্রান্ত ২০১৭ সালের ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির আলোকে পরীক্ষার আগে কেন ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ