পুরনো পদ্ধতিতে ভ্যাট কার্যক্রম আরো ৩ মাস
নতুন বছর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিদ্যমান আইন সংশোধন ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সফটওয়্যারে নতুন সংযোজন এনে ওই ঘোষণা বাস্তবায়নের কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু করলেও পুরনো পদ্ধতিতে ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ আরো তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, সফটওয়্যার-সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন হলেও আইন সংশোধন না হওয়ায় পুরানো বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) বাতিল করা যাচ্ছে না। অনলাইন পদ্ধতিতে একাধিক হারে ভ্যাট আদায়ের পর তা সমন্বয় নিয়েও কিছু সমস্যা থেকে গেছে। ফলে পুরানো সাত লাখ ৭৫ হাজার নিবন্ধন বাতিল করে সম্পূর্ণভাবে অনলাইন পদ্ধতিতে যাচ্ছে না এনবিআর। তবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিন মাসের মধ্যে অনলাইন পদ্ধতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।
এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট প্রশাসন) ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল হাসান বলেন, ভ্যাট আইন সংশোধন না হওয়ায় বিদ্যমান আইনেই অনলাইন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনলাইনের জন্য নয় ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন করা হলেও তা পুরানো পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হচ্ছে। ভ্যাটের একাধিক হার ধরেই সফটওয়্যার নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে কিছু পরিবর্তন এনে গতকাল ১ জানুয়ারি পুরোপুরি অনলাইন চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পুরনো পদ্ধতিতে ভ্যাট পরিশোধে আরো তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলে সম্পূর্ণভাবে অটোমেশনে যাবে ভ্যাটের কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যমান আইনের স্লাবভিত্তিক ভ্যাট হার বহাল রেখেই ভ্যাট অনলাইন প্রযুক্তি সাজানো হয়েছে। এজন্য শুরু হওয়া অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
পিডিএসও/তাজ