চিঠিপত্র
রিকশা পেইন্ট
সুমাইয়া বুবলি
রিকশা পেইন্ট কথাটা শুনেই কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে তাই না? রিকশার আবার পেইন্ট কীÑএটাই তো ভাবছেন? আমরা যদি আমাদের দেশের রিকশাগুলোকে খেয়াল করে দেখি তাহলে দেখতে পাব রিকশার পিছনে অনেক কিছু আঁকা থাকে। যেমনÑচিত্র নায়ক-নায়িকার ছবি, নানা রকম গ্রামীণ দৃশ্য, পাখি, ফুল, গাছপালা ইত্যাদি। ওই চিত্রগুলো একদম বাস্তব চরিত্র বহন করে। বিশেষ করে নায়ক-নায়িকার ছবিগুলো প্রায় বাস্তব। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা কখনো এসব বিষয় খেয়াল করি না অথবা খেয়াল করার প্রয়োজন বোধ করি না। এর একটা কারণ আছে অবশ্যই। কারণটা হলো যারা এসব চিত্র আঁকেন তারা কি কেউ উচ্চশিক্ষিত! আমরা শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও এত সুন্দর করে ওই চিত্রগুলো আঁকতে পারি না অথচ তারা অশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের হাত শিল্পীর মতো কাজ করে। তারা যদি শিক্ষিত হতো তাহলে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ত চারদিকে। কারণ বাংলাদেশে শিক্ষিত মানুষের এতটাই মূল্য যে, অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে কোনো প্রতিভা থাকলেও তা প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ তাদের দেওয়া হয় না। আমাদের মতো শিক্ষিত মানুষদের কি উচিত নয়, এ দেশের ছোট ছোট শিল্পগুলোকে নিয়ে ভাবা? তাদের শিল্পকর্মগুলো বাংলা তথা সারা বিশ্বকে দেখানো। যদি আমরা একটু খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাব কত রকম শিল্প ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে রিকশা ঢ়ধরহঃ একটি। সত্যিই কত সুন্দর ছবি আঁকে তারা। তারা তাদের হাতের মাধূর্য দিয়ে রিকশাগুলোকে ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু যারা এই ছবি আঁকে তারা কি কোনোদিন রিকশার আড়াল থেকে সামনে আসার সুযোগ পাবে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করে বলব, আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশের অশিক্ষিত মানুষের প্রতিভাগুলো নিয়ে একটু ভাবি। তাহলেই আমাদের দেশ শিল্পের সৌন্দর্যে ভরে উঠবে।
চরপাড়া, ময়মনসিংহ
"