নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান
১৫ লাখ টন আলু পচে যাওয়ার শঙ্কা
সংরক্ষিত আলুর প্রায় অর্ধেক অবিক্রীত থেকে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন। যেসব আলু বিক্রি হয়েছে তার মধ্যেও একটি অংশ লোকসানে গেছে বলে দাবি করে সংগঠনটি।
চলতি মৌসুমে আলু বাজারজাতের আর তিন সপ্তাহ বাকি আছে। এই সময়ের মধ্যে পাঁচ লাখ টন বীজ আলু ও দুই লাখ টন খাবার আলু হিসেবে বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাকি ১৫ লাখ টন আলু অবিক্রিত থেকে যাবে, যা ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এবার দেশে প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন আলুর ফলন হয় জানিয়ে হিমাগার মালিকরা জানান, বিক্রয় মৌসুমের শুরু থেকে ক্রমাগত দরপতন হয়ে বর্তমানে কোনো কোনো অঞ্চলে আলু বস্তাপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো জানান, এ বছর আলুচাষি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকদের লোকসান সর্বমোট ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি কৃষক এবং দেড় কোটি মানুষ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণের সাথে জড়িত। আলুর দামে ক্ষতির মুখে পড়ায় এসব মানুষের সহায়তায় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। এ সংকট সমাধানে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা কিছু দাবি তুলে ধরেছে। এর মধ্যে আলুর রফতানি বাড়াতে নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধি, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ও মনিটরিং সেল গঠন, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আপ্যায়নে আলুর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, কৃষিভিত্তিক হিমাগার শিল্পের বিদ্যুৎ বিলের ২০ শতাংশ কমানোর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
"