চট্টগ্রাম ব্যুরো
স্ক্যানারের অভাবে ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর
ভোগান্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে যান্ত্রিক সমস্যার কথা সবার জানা। কিন্তু এর উন্নয়নে নেই কোনো সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। এবার নতুন করে শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্ক্যানার মেশিনের অভাব। বন্দরের সব গেটে এখনো বসানো হয়নি কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিন। বাধ্যতামূলক হলেও ১২টি গেটের মধ্যে স্ক্যানিং আছে মাত্র চারটিতে। এতে বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে অর্থনীতির চালিকাশক্তি এ বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
মাদকদ্রব্য কোকেন জব্দ, দুই দফায় উচ্চমাত্রাসম্পন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত ও হরহামেশা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও কেন এই অবহেলা তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বর্ণদ্বার। সেই বন্দরের দ্বারগুলো ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালের ৬ জুন বলিভিয়া থেকে আসা দুই হাজার কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য কোকেনবাহী কন্টেইনার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল তেজস্ক্রিয় পদার্থযুক্ত ইস্পাতের টুকরা এবং ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট চীন থেকে আসা কন্টেইনারে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যায় বন্দরে। এত কিছুর পরও বন্দরের সব গেটে নিশ্চিত করা যায়নি স্ক্যানিং মেশিন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, কন্টেইনার আসার সঙ্গে সঙ্গে যদি স্ক্যান করে প্রতিবেদন পাওয়া যেত তবে দ্রুত পণ্য খালাস হতো। বন্দরের ১২টি গেটের মধ্যে স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র চারটিতে। এতে মালামাল খালাসে ভোগান্তির পাশাপাশি নানা জটিলতায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রত্যেকটি গেটে আধুনিক স্ক্যানার বসাতে হবে। স্ক্যানারের অভাবে পণ্য এক সপ্তাহ পড়ে থাকবে এটা কেমন কথা?
২০১৬ সালে একটি স্ক্যানিং বিভাগ চালুর উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। যে চারটি গেটে মেশিন আছে তার অধিকাংশের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ২০১৮ সালে। তবে প্রতিটি গেটে স্ক্যানার বাড়ানোর কথা জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, অনেক সময় স্ক্যানার খারাপ থাকে, ভেতরে এ কারণে জট সৃষ্টি হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এ বন্দর দিয়ে গত কয়েক বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টিইউইএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
"