নিজস্ব প্রতিবেদক
ভ্যাট ফাঁকিতে কর্মকর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগ
প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির খাতায় যাচ্ছে। রাজধানীর নামিদামি রেস্টুরেন্ট, সুপার শপসহ নানা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় আছে। অভিযোগ উঠেছে, ভোক্তাদের ভ্যাট চেকার অ্যাপে করা অভিযোগও আমলে নিচ্ছে না রাজস্ব বোর্ড। ভোক্তারা বলছেন, কিছু কর কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশেই ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে ভ্যাট। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট নিবন্ধন হলেও চালান রিসিট দেওয়া হয় না ভোক্তাদের।
প্রসঙ্গত, ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে দুই বছর আগে চালু হয় মোবাইল অ্যাপ ভ্যাট চেকার। কেনাকাটার পর চালানে যে নিবন্ধন নম্বর থাকে তা ভ্যাট চেকার দিলেই জানা যায়। এই রাজস্ব সরকারি কোষাগারে যাচ্ছে কি না।
এ যাবৎ অ্যাপের মাধ্যমে তিন হাজার সাত শ ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পেয়েছে এনবিআর। অভিযুক্তের তালিকায় আছে স্বপ্ন, আগোরা, ফখরুদ্দিনসহ নামিদামি প্রতিষ্ঠান। অথচ গত ১৫ মাসে এর বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে মাত্র ৬৭টি। ভ্যাট গোয়েন্দার ফেসবুক পেজ জানাচ্ছে, গত অক্টোবরে শুধু সুলতানস ডাইনে অভিযানে গিয়েই মিলেছে কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ। ভ্যাট চেকার অ্যাপ নির্মাতার অভিযোগ, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ছেন তারা। এ পর্যন্ত ভ্যাট চেকার নামের এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। এখন অ্যাপটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিতে কাজ করছে রাজস্ব বোর্ড।
"